কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান আগের চার ওভারে ১৮ রান দিলেও উইকেটের দেখা পাননি । দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে তার ওভারের দ্বিতীয় বলেই ছক্কা হাঁকান শ্রীলঙ্কার মিলিন্দা শিরিবর্ধনে। ছক্কা খেয়েই যেন ক্ষেপে গেলেন বাংলাদেশের তরুণ এই পেসসেনসেশন।
ওভারের তৃতীয় বলেই শিরিবর্ধনে তালুবন্দী হলেন পরিবর্তিত ফিল্ডার শুভাগত হোমের। আউট হওয়ার আগে ৩১ বছর বয়সী বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান ২৫ বলে এক চার ও এক ছক্কায় করেন ২২ রান। ৩৬ ওভার শেষে লঙ্কানদের সংগ্রহ ছয় উইকেটে ১৬৩ রান।
এর আগে ডাম্বুলার রানগিরি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে তামিম ইকবালের ১২৭, সাকিব আল হাসানের ৭২ ও সাব্বির রহমানের ৫৪ রানে ভর করে শ্রীলঙ্কাকে ৩২৫ রানের বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় মাশরাফিবাহিনী। রানের পাহাড় তাড়া করতে নেমে শুরুতেই মাশরাফির আঘাতে টলমল লঙ্কা শিবির।
ইনিংসের তৃতীয় বলে রানের খাতা খোলার আগেই মাশরাফির বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন লঙ্কান ওপেনার গুনাথিলা। এরপর ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারে কুশল মেন্ডিসকে সাজঘরে ফেরান এই ম্যাচ দিয়েই রঙিন পোশাকে অভিষেক হওয়া ডানহাতি অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
এরপর ব্যক্তিগত প্রথম ওভারে তাসকিনের শেষ বলে মাশরাফির হাতে তালুবন্দী হন উপুল থারাঙ্গা। আউট হওয়ার আগে ২৯ বলে তিন চারে ১৯ রান করেন ৩২ বছর বয়সী বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান। ৩১ রানেই তিন উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন দিনেশ চান্দিমাল ও আসেলা গুনারত্নে। ৫৬ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দিচ্ছিলেন এদু’জন।
ইনিংসের ২৪তম ওভারে গুনারত্নেকে ফিরিয়ে দিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। গুনারত্নে ফিরে গেলেও শিরিবর্ধনেকে সঙ্গে নিয়েই দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ২৭ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৩৪ রানের জুটি গড়ার পথে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২১তম হাফ সেঞ্চুরিও।
কিন্তু ইনিংসের ২৯তম ওভারে অভিষিক্ত মিরাজের বলে সুইপ শট খেলতে গিয়ে ফাইন লেগে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েন চান্দিমাল। আউট হওয়ার আগে লঙ্কান এই ব্যাটসম্যান ৭০ বলে ছয় চারে ৫৯ রান করেন। এটা মিরাজের দ্বিতীয় শিকার।