তবু শহীদদের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমি কেবল সাদা কালো অক্ষরে আটকে থাকা নামফল কস্বাধীনতার ৪৬ বছর। জগন্নাথ হল এবং রায়েরবাজারের বধ্যভূমি ছাড়া অধিকাংশ বধ্যভূমিই সংরক্ষণ এবং পরিচর্যার অভাবে ভুগছে অস্তিত্ব সঙ্কটে, ঘটছে বেখলের মতো ঘটনা।

২৫ মার্চ শনিবার সময় টিভি’র এক প্রতিবেদনে এ সব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ৪৬ বছর পার হলেও বধ্যভূমির সঠিক কোন তালিকা করা হয়নি, নেই কোন সরকারি হিসেব। নিত্যওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির তথ্য বলছে দেশে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত মোট বধ্যভূমির সংখ্যা ৯৪২ টি যার অধিকাংশই বিশেষ দিন ছাড়া পড়ে থাকে অযত্ন আর অবহেলায়।

যে দামের মূল্যে নিজের শেষ নি:শ্বাস, বুলেট আর বেয়োনেটের আঘাতের বিনিময়ে পাওয়া একটি পতাকা, একটি স্বাধীন ভূখন্ড, একটি স্বদেশ ভূমি। সে মাটির প্রতিটি বুনটে আছে স্বপ্ন বোনার গল্প, সে ভূখন্ডের প্রতি ইঞ্চিতে লেপ্টে আছে রক্তের দাগ, সে পতাকাতে পরিচিতি লাল সবুজের প্রিয় বাংলাদেশ।

ইতিহাসের দায় মেনে নিয়ে বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ করার জোর দাবি নতুন প্রজন্মসহ সব বয়সীদের। নিজেদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন বধ্যভূমিগুলো সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে না পারলে মূল্য দিতে হবে রাষ্ট্রকে।

বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ এখনই না নিলে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে অজানা থেকে যাবে মহান মুক্তিযুদ্ধ আর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আর মন্ত্রণালয় বলছে চলতি মাসেই সমন্বিত নীতিমালার মাধ্যমে বধ্যভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031