‘প্রিন্স’ মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে এখনই কোনো মামলা করছে না শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর শুল্ক ফাঁকি দেওয়া একটি কালো রেঞ্জ রোভার গাড়ি ব্যবহারের অভিযোগে।

সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান জানান, তারা এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত শেষে মামলা করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাড়ি থেকে গাড়িটি আটক করেছ শুল্ক গোয়েন্দারা।

শুল্ক অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গাড়িটি ভুয়া আমদানি দলিলাদি দিয়ে ভোলা ঘ-১১-০০৩৫ নম্বরের রেজিস্ট্রেশন নেওয়া হয়। গাড়িটির নথিপত্র যাচাই করে দেখা গেছে, চট্টগ্রামের কাস্টমস হাউজের বিল অব এন্ট্রি ১০৪৫৯১১ নম্বরের ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৩০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে ভোলা থেকে রেজিস্ট্রেশন করা হয় গাড়িটি। রেজিস্ট্রেশনে গাড়িটির রং সাদা বলা হলেও উদ্ধারকৃত গাড়ির রং কালো। কাস্টমস হাউজের নথি যাচাই করে বিল অব এন্ট্রি ভুয়া হিসেবে পাওয়া গেছে।
সূত্রটি আরো জানায়, গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কের ৫এ/বি৮ নম্বর বাড়ির ঠিকানায় গাড়িটি ব্যবহার করেন মুসা। তাকে সকাল আটটায় গাড়িটি হস্তান্তর করার জন্য নোটিশ করা হয়। কিন্তু তিনি আগেই টের পেয়ে ধানমন্ডির এক আত্মীয়ের বাসায় গাড়িটি লুকিয়ে রাখেন।

ভোলা জেলার বিআরটিএ অফিস থেকে জানা গেছে, এই গাড়িটি পাবনার ফারুকুজ্জামান নামের এক ব্যক্তির নামে রেজিস্ট্রেশন নেওয়া হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান বলেন, ‘আটক গাড়িটি এখন আমাদের হেফাজতে রয়েছে। আমরা সেটি শুল্ক বিভাগের গোডাউনে হস্তান্তর করব। আর অভিযুক্ত মুসা বিন শমসেরকে আমরা নোটিশ করব। শুল্ক আইন ও মানিলন্ডারিং আইনে তদন্ত শেষে মামলা করা হবে।’ এ ছাড়া তথ্য গোপন করে মুসার গাড়ি ব্যবহারের ঘটনা দুর্নীতি দমন কমিশনকে জানানো হবে বলে জানান তিনি।

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031