দুদক সূত্র জানায়, আদালতে দুর্নীতিবাজদের শাস্তি হলে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত তাদের সম্পদের বিষয়ে কিছু হয় না। এখন থেকে ওই সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আবেদন জানানো হবে। আদালতের আদেশ অনুযায়ী দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের রিসিভার হওয়া ও ওই সম্পদ রাষ্ট্রীয় খাতে জমা দিতে কাজ করবে সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিট।দুর্নীতি দমন কার্যক্রম জোরদার করতে তিনটি বিশেষ ইউনিট গঠন করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এগুলোর মধ্যে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করতে গঠন করা হবে সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিট। স্বপ্রণোদিত হয়ে দুর্নীতির খোঁজ করা ও দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনতে হবে গোয়েন্দা ইউনিট। এ ছাড়া দুদকের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার ও আসামি ধরার সময় নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে এনফোর্সমেন্ট ইউনিট গঠন করা হবে। গতকাল রোববার দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সভাপতিত্বে কমিশন সভায় ওই তিনটি বিশেষ ইউনিট গঠনের সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে। এ ছাড়া দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে দুদকের সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালীকরণসহ কতিপয় সিদ্ধন্ত নেওয়া হয়।
২০ মার্চ সোমবার ‘দুদকে ৩টি বিশেষ ইউনিট হচ্ছে’ শিরোনামে দৈনিক সমকালে প্রকাশিত এক সংবাদে এই তথ্য উঠে এসেছে।
দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল বলেন, কমিশন সভায় সেসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধ কাজ গতিশীল হবে। কমিশন স্বাবলম্বী হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে কাজ করতে চায়। সে জন্যই চলতি বছরের প্রথম কমিশন সভায় সেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ, কমিশনার (তদন্ত) এএফএম আমিনুল ইসলাম, দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামালসহ সব বিভাগের মহাপরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।