প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্দেহভাজন জঙ্গিদের বিষয়ে তথ্য পেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন । জঙ্গিদেরকে কোনোভাবেই বাংলাদেশে সফল হতে দেয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই দেশে কোনো সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ হোক, সেটা আমরা চাই না। এর বিরুদ্ধে আমরা যে কঠোর অবস্থান নিয়েছি, তা অব্যাহত থাকবে।’

শনিবার বিকালে রাজধানীতে আওয়ামী লীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর ৯৭তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মাঝে নীরব থাকলেও চলতি মাসেই আবার মাথাচাড়া দিয়েছে জঙ্গি তৎপরতা। গত ৬ মার্চ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টায় তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যানে বোমা ছুড়ে মারে হামলাকারীরা। পরদিন কুমিল্লার চান্দিনায় বাসে তল্লাশির সময় দুই যুবক পুলিশের দিকে বোমা ছুঁড়ে মারার চেষ্টা করছিল। পরে তাদেরকে আটক করা হয়।

ওই দুই যুবকের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে পরদিন চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সন্দেহভাজন একটি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ, উদ্ধার করা হয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ।

গত বুধ ও বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড সন্দেহভাজন দুটি আস্তানার সন্ধান পায় পুলিশ। এর মধ্যে সাধন কুঠির নামে একটি বাড়ি থেকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দেয়া দুই জনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে ওই নারীর গায়ে বোমা বাধা ছিল। তিনি আত্মঘাতী ছিলেন বলেই ধারণা পুলিশের।

ওই বাড়িটির লাগোয়া ভবন ছায়ানীড়ে অভিযানে ভেতরে থাকা সন্দেহভাজন জঙ্গিরা আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটালে নিহত হয় চার জন। পুলিশের গুলিতে নিহত হয় একজন।

শুক্রবার উত্তরার আশকোনায় র‌্যাবের নির্মাণাধীন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে এক ব্যক্তি নিজের গায়ে থাকা বিস্ফোরক ফাটিয়ে আত্মাহুতি দেয়। শনিবার আবার খিলগাঁও এলাকায় র‌্যাবের তল্লাশি চৌকিতে আত্মঘাতী হামলার চেষ্টা হয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব। পরে গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে।

জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সরকার আপ্রাণ লড়াই করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে জনগণের সহায়তা চান। তিনি বলেন, ‘নিজ নিজ এলাকায় কোনো জঙ্গি বা সন্ত্রাসী আছে কি না, সঙ্গে সঙ্গে সেই তথ্য আপনাদের সংগ্রহ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তুলে দিতে হবে।’

জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কারও ছেলেমেয়ে যেন এই জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়। সম্পৃক্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে এর ব্যবস্থা নিতে হবে। নিজের সন্তানের খবর নিতে হবে তারা কোথায় যায়, কার সঙ্গে মেশে, কী করে।’

আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আহমদ হোসেন, আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ আলোচনায় বক্তব্য রাখেন।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031