হাইকোর্ট ভবিষ্যতে কোনো আসামিকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালত কক্ষে পাঠানো যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন । ১৩ মার্চ সোমবার ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আসামি হাজিরের বিষয়ে ডিআইজি প্রিজন তৌহিদুল ইসলাম হাইকোর্টে ব্যাখ্যা দিতে এলে এ নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের তলবের পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ মার্চ সোমবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে আসামিকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আনার কারণ ব্যাখ্যা করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন ডিআইজি প্রিজন। ডিআইজ প্রিজনকে সতর্ক করে ক্ষমা করে দেন আদালত।
পরে আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আদালতে ব্যাখ্যা দিয়েছি চারজন আসামিই জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন (জেএমবি) সদস্য ছিলেন। আইন অনুযায়ী পুলিশের চাহিদার ভিত্তিতেই যেকোনো আদালতে আমরা আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে পাঠাই। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।’
‘তখন আদালত আমাদের বলেছেন, ভবিষ্যতে আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আর আদালত কক্ষে পাঠানো যাবে না। আমরা আদালতের নির্দেশনা মেনে চলব’, যোগ করেন ডিআইজি প্রিজন তৌহিদুল ইসলাম।
লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী সৈয়দা সাবিনা আহমেদ মলি জানান, চার বছর আগেই ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আসামিকে আদালতে হাজির যাবে না মর্মে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিলেন। রায়ের বিষয়টি তিনি অবগত নন বলে আদালতকে জানান ডিআইজি প্রিজন। তাই আদালত আজ তাদের সতর্ক করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছেন এবং ডাণ্ডাবেড়ি পরোনোর বিষয়টি কেবল হাইকোর্টের জন্য প্রযোজ্য সারাদেশের আদালতের জন্য নয় বলেও জানান আইনজীবী সৈয়দা সাবিনা আহমেদ মলি।
তবে আদালত কক্ষে আসামিকে ঢোকানোর সময় ডাণ্ডবেরি পরানো যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন কারাগারে থাকা ১০ আসামিকে আদালতে হাজির করতে বলা হয়েছিল। সেই আসামিদের মধ্যে ৪ জনকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির করায় গত ৭ মার্চ ডিআইজ প্রিজনকে তলব করেন হাইকোর্ট। তলবের প্রেক্ষিতে সোমবার ডিআইজি প্রিজন আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেন।