প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের নেভাল বার্থে কমিশনিং করে আধুনিক দুই সাবমেরিন (ডুবো যুদ্ধজাহাজ) ‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’ উদ্বোধন করেছেন ।
রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে কমিশনিংকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জাহাজ দুটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন শান্তিপ্রিয় দেশ। একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে যা যা প্রয়োজনীয় তা আমরা সংগ্রহ করছি। এসব সরঞ্জাম আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক।
তিনি বলেন, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হতে চাই না। তবে কেউ আক্রমণ করলে যেন সমুচিত জবাব দিতে পারি সেজন্য বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা পৃথিবীর সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই। জনগণের সার্বিক উন্নতির জন্য আমরা সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই।
নৌবাহিনীর সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী উদ্দেশ্যে বলেন, আত্মবিশ্বাস আর আত্মমর্যাদা নিয়ে কাজ করবেন। মনে রাখবেন আপনারা যুদ্ধজয়ী জাতি। যুদ্ধ জয় করা স্বাধীন দেশের নাগরিক।
বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। এই দিনটি শুধু বাংলাদেশ নৌবাহিনী বা সশস্ত্র বাহিনীর জন্য নয়, সমগ্র বাংলাদেশের জন্য এটি এক বিশেষ দিন। স্বাধীনতার এই মাসে আমাদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন সাবমেরিন বাংলাদেশের নৌবাহিনীতে যুক্ত হলো। একটি আধুনিক ও শক্তিশালী নৌবাহিনী গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পথে বাংলাদেশ আরও একধাপ এগিয়ে গেল। পৃথিবীর মাত্র গুটিকয়েক দেশ সাবমেরিন পরিচালনা করে থাকে। সেই তালিকায় যুক্ত হলো বাংলাদেশের নাম। এটি জাতি হিসেব আমাদের জন্য অত্যন্ত সম্মান ও মর্যাদার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নৌবাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যুদ্ধজাহাজ সংগ্রহ এবং বিদ্যমান জাহাজগুলোর অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধির বহুমুখী উদ্যোগ নিয়ে চলেছে।