হাইকোর্ট জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার একটি অংশ পুনরায় তদন্ত চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আবেদন খারিজ করে দেন।
জিয়ার অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বিচারিক কার্যক্রম রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালতে চলছে। এ মামলায় একটি অংশ পুনরায় তদন্ত চেয়ে গত ২রা ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। পরে শুনানি শেষে তা নাকচ করে দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার। বিচারিক আদালতের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আইনজীবীদের মাধ্যমে গত ১লা মার্চ হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আবেদনের শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী আবদুর রেজাক খান। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভূইয়া। আইনজীবীরা জানান, এই মামলার ৩১ নম্বর সাক্ষী ও দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ সাক্ষ্যে বলেছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে এই অর্থ সৌদি আরব থেকে এসেছে। কিন্তু তাদের (খালেদার আইনজীবী) মতে এই অর্থ কুয়েতের আমির কর্তৃক প্রেরিত। তাই, মামলার এই অংশটি পুনরায় তদন্ত করার অনুমতি চাওয়া হয়। গতকাল আবেদন খারিজের আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া মানবজমিনকে জানান, হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে খালেদার করা আবেদন বুধবার মঞ্জুর করে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ থেকে স্থানান্তর করে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। একই সঙ্গে এই মামলার বিচার কার্যক্রম ৬০ কার্যদিবসে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পরবর্তী শুনানির জন্য ৩০শে মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের করা সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন করে এদিন ধার্য করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার। মামলার নথিপত্র অনুযায়ী, জিয়া অরফানেজ টাস্ট্রের নামে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে খালেদা জিয়া, তার ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩রা জুলাই রমনা থানায় মামলা দায়ের করে দুদক। ২০০৯ সালের ৫ই আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এ মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মামলার অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার বিএনপিদলীয় সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 | 31 |