প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরের জন্য সামুদ্রিক সহযোগিতা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এ অঞ্চলের জন্য দক্ষ নাবিক তৈরিতে বাংলাদেশে ভারত মহাসাগর কারিগরি ও বৃত্তিমুলক একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনেরও প্রস্তাব করেন।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) ভারত মহাসাগর রিম অ্যাসোসিয়েশন (আইওআরএ) সামিটে নেতাদের প্রতি তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অভিষ্ট লক্ষ্য হচ্ছে মহাসাগর ও সমুদ্রপথ উন্নয়নের মাধ্যমে রিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশকে রূপান্তরের প্রচেষ্টা চালানো। আসুন সামুদ্রিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করে শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরের জন্য নিজেদেরকে উৎসর্গ করি ।… আসুন একসঙ্গে তরী ভাসাই।’
বাংলাদেশকে বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগরের উপকূলবর্তী দেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে এর সমুদ্র সম্পদ টেকসইভাবে ব্যবহারের ওপরই ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং সামাজিক কল্যাণ নিহিত রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এজন্য আমরা এসডিজি-১৪ কে আমাদের ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সম্পৃক্ত করেছি এবং সমুদ্র অর্থনীতির দিকে আমাদের মনসংযোগকে নবায়ন করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় সমুদ্রসীমানা নিয়ে পাশ্ববর্তী দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ বিরোধ মীমাংসা আমাদের অর্থনৈতিক সম্ভবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে বলেও উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘যদিও আমরা এ বিষয়টিতে সম্পূর্ণভাবেই অবগত যে, সমুদ্র এলাকার সম্পদ আহরণের সামর্থের ওপরই আমাদের এই সাফল্য নির্ভর করছে।’
তিনি বলেন, ‘যদি ব্লু ইকোনমিকে আমাদের ভবিষ্যত অর্থনীতির কৌশল হিসেবে গ্রহণ করতে হয় তাহলে আমাদের সমুদ্রকে বন্ধুত্বের সেতুবন্ধ হিসেবে ব্যবহার করে এই অঞ্চলের উত্তেজনা প্রশমন এবং সমুদ্র পথ ব্যবহারের স্বাধীনতা ও আইওআরএ’র কৌশল অনুযায়ী সহযোগিতাকে জোরদার করতে হবে।
‘ব্লু ইকোনমি এখন সব আইওআরএ সদস্য রাষ্ট্রেরই অভিন্ন স্বার্থ’, বলেন প্রধানমন্ত্রী। এরআগে প্রধানমন্ত্রী সামিটের উদ্বোধনী পর্বে যোগ দেন।
সূত্র: বাসস