অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সরকারের শেয়ার কম থাকায় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের কার্যক্রম ঢেলে সাজানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ।

রবিবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডাররা প্রতিষ্ঠানটির মালিক। তারা নির্বাচিত পরিচালকদের পক্ষে ব্যাংকের স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন।

তিনি বলেন, ব্যাংকটিতে সরকারের শেয়ার মাত্র ০.০০১৩ শতাংশ। এজন্য ব্যাংকের কার্যক্রমকে ঢেলে সাজাতে সরকারের তরফ থেকে কোনো বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব নয়।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের এক প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকার সমপরিমাণ বিদেশি রেমিট্যান্স এসেছে, যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় ২ হাজার ১৩৬ কোটি টাকা কম।

সরকারি দলের সাংসদ নুরজাহান বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আর্থিক খাত সংস্কার কর্মসূচির আওতায় ১৯৯০ সাল থেকে আমানত ও ঋণের সুদের হার নির্ধারণের ক্ষমতা ব্যাংকগুলোর ওপর ন্যস্ত করা হয়। বিদ্যমান সুদ নীতিমালার আওতায় সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলো নিজেরাই বর্তমানে স্বাধীনভাবে আমানত ও ঋণের সুদ হার নির্ধারণ করে থাকে।

মুহিত বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক মাসিক ভিত্তিতে তফসিলি ব্যাংকগুলোর ঘোষিত আমানত ও ঋণের সুদের হারের তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাংক-ওয়ারী তালিকা প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। তফসিলি ব্যাংকগুলোর ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে ঘোষিত সুদ হারের তালিকা থেকে দেখা যায় যে, কৃষিখাতে ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে তফসিলি ব্যাংকগুলোর সুদ হার ছিলো সর্বনিম্ন শতকরা ২ ভাগ থেকে সর্বোচ্চ ১০ ভাগ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বৃহৎ ও মাঝারি শিল্প খাতে ওই সময়ে তফসিলি ব্যাংকগুলোর সুদ হার সর্বনিম্ন ৬ ভাগ থেকে সর্বোচ্চ ১৬.৫০ ভাগ। গৃহায়ন খাতে একই সময়ে তফসিলি ব্যাংকগুলোর সুদ হার সর্বনিম্ন শতকরা ৮ ভাগ থেকে সর্বোচ্চ ১৭ ভাগ বিদ্যমান ছিলো।

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031