৫০ টাকার নীচে নেই খুচরা বাজারে চালের দাম কেজিতে । একটু ভাল হলে সেই চালের দাম রাখছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, এতে সাধারণ মানুষ খুবই অস্বস্থিতে আছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষজনের একেবারে নাভিশ্বাস হওয়ার অবস্থা। তাদের দাবী দৈনিক আয়ের বেশিরভাগ টাকা চাল কিনতেই চলে যায়। এদিকে বারবার ধানের বাম্পার ফলনের পরও কেন বাজারে চালের দাম এত বেশি তা বুঝতে পারছেননা সাধারণ মানুষ। এখানে ব্যবসায়িরা কোন ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত কিনা সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। তবে কৃষি বিভাগের মতে কক্সবাজারে ২৫ হাজার মেঃ টন খাবার উদ্বৃত্ত থাকে। মূলত প্রায় ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আর পর্যটকদের খাবার জোগাতে গিয়ে চালের উপর প্রভাব পড়েছে।
কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার বাসিন্দা রিক্সাচালক বোরহান উদ্দিন বলেন, আমি সারাদিন রিক্সা চালিয়ে মাথায় ঘাম পায়ে ফেলে খুব বেশি হলে ৪৫০ টাকা বা ৫০০ আয় করি। এরমধ্যে রিক্সা ভাড়া দিতে হয় ৮০ টাকা আর বাকি যা থাকে তার মধ্যে চাল কিনতেই লাগে ২০০ টাকা। এখন আপনি বলেন বাকি ২৫০ বা ২৮০ টাকা দিয়ে কি মাছ কিনবো, নাকি তরকারি কিনবো, নাকি ছেলে মেয়েদের জামা কাপড় বা পড়ালেখার খরচ দিব। আমাদের অতীতে কোনদিন এত বেশি দামে চাল কিনে খেতে হয়নি।
একই সময় দিনমজুর রুহুল আমিন বলেন, প্রতিদিন খুব ভোরে কালুরদোকান রাস্তাতে বসে থাকি কাজের আসায়। যা কাজ পাই তাই করি। দৈনিক ৫০০ টাকা বা মাঝে মধ্যে মালিকের ইচ্ছা হলে ৫০ টাকা বাড়িয়ে দেয়। সন্ধ্যায় বাজার করতে গেলে শুধু চালেই চলে যায় বেশিরভাগ টাকা। কারন বাজারে এখন ৫০ টাকার নীচে কোন চাল নেই। তার চেয়ে একটু কম দামে ৪৬/৪৮ টাকার কিছু চাল আছে সেটা আমরা খেতে পারি না। আর সেই চাল বাড়িতে নিয়ে গেলে আরো অশান্তি হয়। কারণ হয় পাথর থাকে না হলে ধান বেশি থাকে সাথে ভাঙ্গাতো আছেই। অর্থাৎ খাওয়ার উপযুক্ত না। অথচ যে চাল এখন ৫০ টাকা দিয়ে কিনছি সেই চাল ৩ মাস আগেও ৩৮ টাকা আর ১ বছর আগে ৩০ টাকা দরে কিনেছিলাম। আর ৫০ টাকা দিয়ে এখন যে চাল কিনি সেটাও মোটামুটি মানের এর চেয়ে একটু ভাল কিনতে চাইলে ৫২ টাকা বা ৫৪ টাকা লাগে। আমরা সরকারের কাছে আহবান জানাতে চাই দ্রুত চালের দাম কমানো দরকার। না হলে আমরা গরীব মানুষ না খেয়ে থাকতে হবে।
এদিকে শুধু নি¤œবিত্ত নয় অনেকটা মধ্য বিত্তঘরেও চালের বাড়তি দামের প্রভাব পড়ছে। এ ব্যাপারে বাহারছড়া এলাকার রফিকুল আলম বলেন, ২ বছর আগে যে চালের বস্তা ১৫০০ টাকা আর কিছু দিন আগে যে চালের বস্তা ১৭৫০ বা ১৮০০ টাকা দিয়ে কিনতাম সেটা এখন ২৩০০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। আমরা সাধারণ মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত সরকার যদি এই প্রধান খাদ্যই মানুষকে খাওয়াতে না পারে তাহলে এত উন্নয়ন দিয়ে কি হবে। যদি আমার পেটে ভাত না থাকে তাহলে দেশের ব্রিজ রাস্তা ঘাট দিয়ে আমার কি কাজে আসবে। তার উপর সব ধরনের নিত্য পণ্যের দামতো আছেই।
একইভাবে ঠিকাদার হারুন উর রশিদ বলেন, রাজনৈতিকভাবে কে কি করলো কে কতভাবে সফল আর ব্যর্থ হলো সেটা সাধারণ মানুষ বুঝে না সাধারণ মানুষ বুঝে কম দামে কোন সরকার চাল খাওয়াতে পেরেছে সেটা। তাই আমি মনে করি সরকারের এই বিষয়ে বেশি নজর দেওয়া দরকার। প্রতিদিন অনেক মানুষের সাথে কথা হয় যখনি ঘরোয়া বিষয়ে কথা হয় তখন বলে চাল সহ নিত্য পণ্যের দাম বেশি যার ফলে সংসার চালাতে কষ্ট হচেছ। কিছু দিন আগে সংবাদ মাধ্যমে দেখেছিলাম সরকার বিদেশে চাল রপ্তানী করছে আমি বুঝতে পারছি না যেখানে দেশে ৫০ টাকার নীচে মানুষ চাল কিনতে পারছে না সেখানে বিদেশে কেন চাল দিচ্ছে। সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে সেই খবর পৌছানো দরকার।
এদিকে প্রফেসর জাফর আহামদ বলেন, চালের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পেছনে ব্যবসায়ীদের কোন কারসাজি আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। আর বার বার শুনি ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে তাহলে কেন চালের দাম মাসে মাসে বাড়ছে সেটা বুঝতে পারছি না। চাল সহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারনে আমরা খুব বিব্রত। এদিকে চাল বাজার এলাকার কয়েক জন ব্যবসায়ি জানান আমরা মূলত ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম থেকে চাল কিনে এনে ব্যবসা করি সেখানে দাম বাড়লে আমাদের এখানে বাড়ে। জানি না কি কারনে পাইকারী বাজারে চালের দাম বেড়েছে। তবে আমরা জানতে চাইলে তারা বলে বাজারে চালের সংকট আছে আর পরিবহণ খরচসহ সবকিছুর দাম বাড়া তাই চালের দাম বাড়তি। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে চাল আমদানী হতে পারে তখন আবারো চালের দাম কমতে পারে।
এদিকে কক্সবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আ.ক.ম শাহরিয়ার বলেন, আমাদের কক্সবাজারে বছরে ২৫ হাজার মে্িট্রকটন খাবার বাড়তি থাকে। এখানে সংকট হওয়ার কোন কারন নেই। আসলে কক্সবাজারে নামে বেনামে প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা আছে তাদের যদি দৈনিক জনপ্রতি ৪শত ৫৩ গ্রাম করে চাল প্রয়োজন হয় তাহলে আপনারাই চিন্তা করুণ দৈনিক কত চাল লাগতে পারে। এছাড়া আমাদের এখানে পর্যটকদের একটি বিশাল চাপ আছে তাদের সেই প্রভাব ও পড়ছে। তাই চালের দামের উপর প্রভাব পড়ছে।
কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার বাসিন্দা রিক্সাচালক বোরহান উদ্দিন বলেন, আমি সারাদিন রিক্সা চালিয়ে মাথায় ঘাম পায়ে ফেলে খুব বেশি হলে ৪৫০ টাকা বা ৫০০ আয় করি। এরমধ্যে রিক্সা ভাড়া দিতে হয় ৮০ টাকা আর বাকি যা থাকে তার মধ্যে চাল কিনতেই লাগে ২০০ টাকা। এখন আপনি বলেন বাকি ২৫০ বা ২৮০ টাকা দিয়ে কি মাছ কিনবো, নাকি তরকারি কিনবো, নাকি ছেলে মেয়েদের জামা কাপড় বা পড়ালেখার খরচ দিব। আমাদের অতীতে কোনদিন এত বেশি দামে চাল কিনে খেতে হয়নি।
একই সময় দিনমজুর রুহুল আমিন বলেন, প্রতিদিন খুব ভোরে কালুরদোকান রাস্তাতে বসে থাকি কাজের আসায়। যা কাজ পাই তাই করি। দৈনিক ৫০০ টাকা বা মাঝে মধ্যে মালিকের ইচ্ছা হলে ৫০ টাকা বাড়িয়ে দেয়। সন্ধ্যায় বাজার করতে গেলে শুধু চালেই চলে যায় বেশিরভাগ টাকা। কারন বাজারে এখন ৫০ টাকার নীচে কোন চাল নেই। তার চেয়ে একটু কম দামে ৪৬/৪৮ টাকার কিছু চাল আছে সেটা আমরা খেতে পারি না। আর সেই চাল বাড়িতে নিয়ে গেলে আরো অশান্তি হয়। কারণ হয় পাথর থাকে না হলে ধান বেশি থাকে সাথে ভাঙ্গাতো আছেই। অর্থাৎ খাওয়ার উপযুক্ত না। অথচ যে চাল এখন ৫০ টাকা দিয়ে কিনছি সেই চাল ৩ মাস আগেও ৩৮ টাকা আর ১ বছর আগে ৩০ টাকা দরে কিনেছিলাম। আর ৫০ টাকা দিয়ে এখন যে চাল কিনি সেটাও মোটামুটি মানের এর চেয়ে একটু ভাল কিনতে চাইলে ৫২ টাকা বা ৫৪ টাকা লাগে। আমরা সরকারের কাছে আহবান জানাতে চাই দ্রুত চালের দাম কমানো দরকার। না হলে আমরা গরীব মানুষ না খেয়ে থাকতে হবে।
এদিকে শুধু নি¤œবিত্ত নয় অনেকটা মধ্য বিত্তঘরেও চালের বাড়তি দামের প্রভাব পড়ছে। এ ব্যাপারে বাহারছড়া এলাকার রফিকুল আলম বলেন, ২ বছর আগে যে চালের বস্তা ১৫০০ টাকা আর কিছু দিন আগে যে চালের বস্তা ১৭৫০ বা ১৮০০ টাকা দিয়ে কিনতাম সেটা এখন ২৩০০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। আমরা সাধারণ মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত সরকার যদি এই প্রধান খাদ্যই মানুষকে খাওয়াতে না পারে তাহলে এত উন্নয়ন দিয়ে কি হবে। যদি আমার পেটে ভাত না থাকে তাহলে দেশের ব্রিজ রাস্তা ঘাট দিয়ে আমার কি কাজে আসবে। তার উপর সব ধরনের নিত্য পণ্যের দামতো আছেই।
একইভাবে ঠিকাদার হারুন উর রশিদ বলেন, রাজনৈতিকভাবে কে কি করলো কে কতভাবে সফল আর ব্যর্থ হলো সেটা সাধারণ মানুষ বুঝে না সাধারণ মানুষ বুঝে কম দামে কোন সরকার চাল খাওয়াতে পেরেছে সেটা। তাই আমি মনে করি সরকারের এই বিষয়ে বেশি নজর দেওয়া দরকার। প্রতিদিন অনেক মানুষের সাথে কথা হয় যখনি ঘরোয়া বিষয়ে কথা হয় তখন বলে চাল সহ নিত্য পণ্যের দাম বেশি যার ফলে সংসার চালাতে কষ্ট হচেছ। কিছু দিন আগে সংবাদ মাধ্যমে দেখেছিলাম সরকার বিদেশে চাল রপ্তানী করছে আমি বুঝতে পারছি না যেখানে দেশে ৫০ টাকার নীচে মানুষ চাল কিনতে পারছে না সেখানে বিদেশে কেন চাল দিচ্ছে। সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে সেই খবর পৌছানো দরকার।
এদিকে প্রফেসর জাফর আহামদ বলেন, চালের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পেছনে ব্যবসায়ীদের কোন কারসাজি আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। আর বার বার শুনি ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে তাহলে কেন চালের দাম মাসে মাসে বাড়ছে সেটা বুঝতে পারছি না। চাল সহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারনে আমরা খুব বিব্রত। এদিকে চাল বাজার এলাকার কয়েক জন ব্যবসায়ি জানান আমরা মূলত ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম থেকে চাল কিনে এনে ব্যবসা করি সেখানে দাম বাড়লে আমাদের এখানে বাড়ে। জানি না কি কারনে পাইকারী বাজারে চালের দাম বেড়েছে। তবে আমরা জানতে চাইলে তারা বলে বাজারে চালের সংকট আছে আর পরিবহণ খরচসহ সবকিছুর দাম বাড়া তাই চালের দাম বাড়তি। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে চাল আমদানী হতে পারে তখন আবারো চালের দাম কমতে পারে।
এদিকে কক্সবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আ.ক.ম শাহরিয়ার বলেন, আমাদের কক্সবাজারে বছরে ২৫ হাজার মে্িট্রকটন খাবার বাড়তি থাকে। এখানে সংকট হওয়ার কোন কারন নেই। আসলে কক্সবাজারে নামে বেনামে প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা আছে তাদের যদি দৈনিক জনপ্রতি ৪শত ৫৩ গ্রাম করে চাল প্রয়োজন হয় তাহলে আপনারাই চিন্তা করুণ দৈনিক কত চাল লাগতে পারে। এছাড়া আমাদের এখানে পর্যটকদের একটি বিশাল চাপ আছে তাদের সেই প্রভাব ও পড়ছে। তাই চালের দামের উপর প্রভাব পড়ছে।