ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী  এক বাস চালককে আদালতের রায়ে কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিবাদে দেশব্যাপি ডাকা পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন । এই ধর্মঘটকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আদালতের রায় নিয়ে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলার অধিকার পরিবহন শ্রমিকদের নেই।’
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও ভাষা শহীদদের স্মরণে’ আয়োজিত আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি বায়েজিদ আহমেদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
পরিবহন শ্রমিকদের উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আদালতের রায়ের সঙ্গে জনগণের কোনও সম্পৃক্ততা নেই। তাই এ রায়ে জনগণ কেন ভোগান্তিতে পড়বে? কাজেই আপনাদের (আন্দোলনকারী) এ অযৌক্তিক ধর্মঘট জনস্বার্থে দ্রুত প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিৎ।’
প্রসঙ্গত, মানিকগঞ্জের আদালতে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ ৫ জন নিহতের মামলায় এক চালকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রতিবাদে বাস ধর্মঘট পালন করছিলেন কয়েকটি অঞ্চলের শ্রমিকরা। এরপর এক নারীকে হত্যার দায়ে সাভারে এক ট্রাকচালকের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ফলে নতুন করে পরিবহন ধর্মঘট ডাকেন শ্রমিকরা।

রাস্তায় চলাচলের সময় মোবাইল ফোনে কথা বলার সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাস্তায় চলাচল করার সময় অনেকে মধুর আলাপে ব্যস্ত থাকে, এর মধ্যে অনেকই গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়। একটা পরিবার ধ্বংস হয় এতে। চালক বেপরোয়া, পথচারীও যদি বেপরোয়া হয় তাহলে এ দেশে দুর্ঘটনা কে রোধ করবে? তাই সবাইকে সতর্কভাবে চলাচল করতে হবে।’

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সারাদেশে ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি দরকার। ছাত্রলীগ যদি সারা বাংলাদেশে প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নেয় এবং পড়াশোনায় মনোযোগি হয়। তাহলে ছাত্রলীগের নামে যেসব অপকর্ম হয়, তার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব হবে।’

ছাত্র সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরে ছাত্রলীগের সাবেক এ সভাপতি বলেন, ‘ছাত্র সংসদের নির্বাচন হলে শিক্ষার্থীরা কোন্দলে জড়াবে না। তারা খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকবে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য। এ জন্য ব্যবস্থা নিতে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আমি পুনরায় আহ্বান করছি।’ এসময় ছাত্র রাজনীতিকে আকর্ষণীয় করতে হলেও ছাত্র সংসদের নির্বাচন প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এখনও আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সম্বোধন করার সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চার মাস হয়ে গেল এখনও আমাকে বলছে নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। চার মাসে ১২০ দিন চলে গেছে, তাই এখন আমি নবনির্বাচিত কোথায়? সোনাবানুর পুঁথি গাইতেই হবে?’

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘মনে হচ্ছে যে, আমার প্রাণ শেষ হয়ে গেলেও বলতে থাকবে নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। বিবেক খরচ করে সবাইকে কথা বলতে হবে।’

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031