আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জনসাধারণকে কষ্ট না দিয়ে বক্তব্য থাকলে তা আদালতে উপস্থাপন করতে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী দুই চালকের সাজার প্রতিবাদে সারা দেশে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
মানিকগঞ্জে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহতের ঘটনায় জামির হোসেন নামের এক বাচালকের যাবজ্জীবন সাজা হওয়ায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় দুই দিন পরিবহন ধর্মঘট চলার পর সোমবার প্রশাসনের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা এলেও পরে শ্রমিক নেতারা কর্মসূচি বহাল রাখার কথা বলেন।
এর মধ্যে ঢাকার সাভারে ট্রাকচাপা দিয়ে এক নারীকে হত্যার দায়ে সোমবার ঢাকার আদালতে ট্রাকচালক মীর হোসেনের ফাঁসির রায় হলে রাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির কর্মসূচি দেয়।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আমি মনে করি, রায়ের প্রেক্ষাপটে ধর্মঘট দুঃখজনক। যারা ধর্মঘট করছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমি কেবল এইটুকু বলতে চাই, আপনাদের যদি কোনো বক্তব্য থাকে, আপনারা যদি সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন, তাহলে আদালতের সামনে আপনাদের বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারেন। আইনে সেই বিধান আছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘জনগণকে কষ্ট না দিয়ে বক্তব্য থাকলে সেটা স্পষ্ট করেন, যদি সেটা যুক্তিসঙ্গত হয়, তাহলে আমি বলতে পারি, এটা দেখা হবে। কিন্তু যদি অযৌক্তিক হয়, তাহলে এটা দেখা হবে না।’
এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা আদালত অবমাননা কি-না, সেটা নির্ভর করে আদালত এটাকে কিভাবে গ্রহণ করবে এর ওপর। অবমাননার ব্যাপারটা আদালতের বিবেচ্য। আদালত যদি মনে করে, আমি এটা ধর্তব্যের মধ্যে ধরব না, তাহলে এটা অবমাননা মনে করবেন না। এটাই আইন। আর যদি তিনি অবমাননা মনে করেন, তাহলে এটা অবমাননা হিসাবে নেয়া যাবে।’