ভারতের কেরালা রাজ্যের এক খ্রিস্টান যাজক যেসব মেয়ে জিন্স প্যান্ট এবং টিশার্ট পরেন তাদের পাথরের সঙ্গে বেঁধে সাগরে ডুবিয়ে মারা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নাম না জানা ওই যাজকের এ সংক্রান্ত বক্তব্যের ভিডিও সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করেন জেসমিন পিকে নামের এক নারী। এরপর ভিডিওটি ৫০ হাজার বার দেখা হয় এবং ৭১৬ বার শেয়ার হয়। মূল ভিডিওটি ১১ মাস আগে ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছিল।
ভিডিওতে দেখা যায়, ওই যাজক মালয়ালম ভাষায় বলছেন, জিন্স প্যান্ট এবং টিশার্ট পরে ঘুরে-বেড়ানো অর্ধনগ্ন মেয়েরা সমাজের ক্ষতি করছে। তাদের পোশাকে পুরুষদের উত্তেজনা বাড়ছে।
যাজক বলেন, হলি কমিউনিয়ন (যিশু খ্রিস্টের শেষ ভোজ উপলক্ষে আয়োজিত) অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন সময়ে কিছু গির্জায় মহিলাদের পোশাক দেখে গির্জা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা হয় তার।
তিনি বলেন, মনে হয়, লাথি মেরে ওই নারীদের গির্জা থেকে বার করে দেয়া হোক। তারা জিন্স প্যান্ট, টিশার্ট ও শার্ট পরে। তাদের হাতে মোবাইল ফোন থাকে। চুলটাও বাঁধে না। মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নারীরা এমনটা করে বলেও দাবি এই যাজকের।
তিনি নারীদের প্রতি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, ক্যাথলিক চার্চ আপনাদের পুরুষদের পোশাক পরার অধিকার দিয়েছে? না বাইবেল সেই অধিকার দিয়েছে? এ যাজকের মতে, নারীদের সেরা পোশাক হল চুড়িদার। কিন্তু শয়তানের প্রভাবে পড়ে মেয়েরা ওড়না ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। উত্তেজক পোশাক পরে তারা ঈশ্বরকে অমান্য করছে।
‘বাইবেল বলছে যারা তোমাকে পাপের দিকে ঠেলে দেয়, তাদের শরীরে পাথর বেঁধে সমুদ্রে ডুবিয়ে মারো’ এমন উদ্ধৃত্তির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নারীরা যদি পুরুষকে উত্তেজিত করে, তবে অবশ্যই তারা পাপ করছে।