সামলাতে হয় উইকেটের পেছনটাও। টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব তার কাঁধে। এছাড়া ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম তো আছেনই। এক সাথে তিনটি দায়িত্ব পালন করে চলেছেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। সেই মুশফিকই কি না বললেন, বোলিং করতেও ইচ্ছা হয় তার!
মুশফিকের কিপিং নিয়ে বেশ আগে থেকেই আলোচনা হচ্ছে। সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে টেস্টের পর সেই আলোচনা আরও বেড়েছে। হায়দরাবাদ টেস্টে দুটি সহজ স্টাম্পিং মিস হওয়ায় সমালোচনার মুখেই পড়তে হয় মুশফিককে। ওই টেস্টের সংবাদ সম্মেলনে কিপিং নিয়ে অনেক প্রশ্নের উত্তরই দিতে হয়েছে তাকে।
তবে মুশফিক জানিয়ে দেন, একসঙ্গে ব্যাটিং এবং কিপিং করায় সমস্যা নেই তার। বরং এটা উপভোগ করেন তিনি। শ্রীলঙ্কা সফরের আগে আবারও সেই কিপিং প্রসঙ্গ। এবারও মুশফিক জানালেন উপভোগ করার কথা। অধিনায়কত্ব, উইকেটকিপিং এবং ব্যাটিং- এক সাথে তিনটি দায়িত্ব পালন করা তার কাছে স্বাভাবিক বিষয়ই।
উল্টো আরও বোলিং করার ইচ্ছার কথা জানালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘আমি উপভোগ করি। আমার ইচ্ছেও করে। আমার তো বোলিং করতেও ইচ্ছে করে। এতে যদি দলের উপকার হয়! কিন্তু আমি ইচ্ছে করলেই তো সব কিছু হবে না। আসল বিষয় হচ্ছে আমার যে দায়িত্ব আছে তা পালন করা। কোচ আছে,ম্যানেজম্যান্ট এবং বোর্ড আছে, তারা সিদ্ধান্ত নেবে আমি কী করবো।
কিপিং করার বিষয়টি টিম ম্যানেজম্যান্টের হাতে জানিয়ে মুশফিক বলেন, ‘গত বছর এশিয়া কাপে আমি কিপিং করিনি। ব্যাটসম্যান হিসেবে দুই তিনটা ম্যাচ খেলেছি। এটা ম্যানেজম্যান্টের সিদ্ধান্ত ছিল। এখনও ম্যানেজম্যান্ট সিদ্ধান্ত নেবে। ব্যক্তিগতভাবে বললে এখনও মনে হয় কিপার এবং ব্যাটসম্যান হিসেবেই আমি দলের জন্য সবচেয়ে ভাল অবদান রাখতে পারি।’
টেস্টে ছয় নম্বরে না করে বদলে আরও উপরে ব্যাটিং করার কোনও পরিকল্পনা আছে? এটাও টিম ম্যানেজম্যান্টের হাতে ছেড়ে দিচ্ছেন মুশফিক, ‘আমি আগে সাত নম্বরে ব্যাটিং করতাম। দলের কম্বিনেশন এখন খুব ভাল। আমি উপরে ব্যাটিং করব কিনা, সেটা ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার। টপ অর্ডার ভাল করছে না বলেই হয়তো এ কথা আসছে। উপরে ব্যাটিং করব কিনা এ নিয়ে চিন্তা আছে। ভবিষ্যতে যদি সে রকম কোনও পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তাহলে হয়তো হতে পারে।’