প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিয়া অরফানেস চ্যারিটি দুর্নীতি মামলা আদালতে প্রমাণিত হলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অবশ্যই শাস্তি ভোগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন ।
শুক্রবার মিউনিখের ম্যারিয়ট হোটেলে আয়োজিত জার্মানি আওয়ামী লীগের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন।
খালেদা জিয়ার শাস্তি হলে দেশে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বিএনপির এমন হুশিয়ারির প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একজন চোরকে রক্ষা করতে তারা নির্বাচন হতে দেবে না, এটা কোন ধরনের আচরণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন যদি কোনও দুর্নীতি না করে থাকেন তবে কেন তিনি আদালতে হাজিরা দিতে ভয় পান? তিনি বারবার সময় চেয়েছেন। এমনকি একটি মামলায় হাজিরা দিতে তিনি ৫৩/৫৪ বার সময় আবেদন করেছেন। আদালতকে এড়িয়ে যাওয়ার কারণ কী?’
এসব প্রশ্নের জবাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে এটা স্পষ্ট যে খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বন্ধের দাবিতে বিএনপি দেশে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালায়। তাই দেশের সাধারণ মানুষ বিএনপির ধ্বংসাত্মক রাজনীতি প্রত্যাহার করেছে। অভিযোগ আছে খালেদা জিয়া সব সময় নেতিবাচক ভূমিকা রাখেন। এমনকি রাজনীতিতেও।’
নতুন গঠিত নির্বাচন কমিশন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপির তালিকা থেকে মাত্র একজন করে কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিএনপি তাতেও সন্তুষ্ট নয়। তারা সবসময় নেতিবাচক আচরণ করে।’
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগদান প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাকে সব কিছুর নিরাপত্তার কথা ভাবতে হয়। দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা, খাদ্য, পানি, জলবায়ু এবং অন্যান্য নিরাপত্তার বিষয়ে আমাকে ভাবতে হয়।’
তিনি সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের কথা উল্লেখ করে আরও বলেন, ‘নতুন নতুন নিরাপত্তার ঝুঁকি বিশ্বের জন্য হুমকি সরূপ।’
এ সময় তিনি বাংলাদেশে কোনও ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সহ্য করা হবে না জানান। তিনি বলেন, ‘সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে যা যা প্রয়োজন তার সবই করা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বিদেশে বাংলাদেশের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে প্রবাসীদের কঠোর পরিশ্রম করার অনুরোধ জানান।
সূত্র: ইউএনবি