১৬টি গাড়ির কাগজপত্র চেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধা অপব্যবহারের অভিযোগে বিশ্বব্যাংকের।
বুধবার সকালে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের কাছে এই তথ্য চায় শুল্ক বিভাগ। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা গাড়ির অপব্যবহার করেছেন বাংলাদেশে কর্মরত বিপুলসংখ্যক বিদেশি নাগরিক। এর মধ্যে বেশির ভাগই বিশ্বব্যাংকের। অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশে অবস্থান শেষে তারা গাড়ি আর ফেরত নিয়ে যাননি। এমন গাড়ির সংখ্যা চার শতাধিক। এসব দামি গাড়ির বেশির ভাগই স্থানীয় বাংলাদেশিদের কাছে বিক্রি করে চলে গেছেন তারা। এতে রাজস্ব হারিয়েছে সরকার।
কূটনীতিকদের মতো এ দেশে কর্মরত বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও উন্নয়ন-সহযোগী প্রতিষ্ঠানের বিদেশি কর্মীরা শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য বিশেষ পাসবই দেয় এনবিআর। শর্ত হলো, নির্ধারিত মেয়াদে কাজ শেষ করে বাংলাদেশ থেকে চলে যাওয়ার সময় গাড়িটি সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন কিংবা বিক্রি করতে পারবেন। তবে যিনি কিনবেন; তাঁকে পুরো শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হবে। এ ছাড়া যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, সেই প্রতিষ্ঠানেও ফেরত দিয়ে যেতে পারেন। ওই প্রতিষ্ঠান নিলামের মাধ্যমে গাড়িটি বিক্রি করবে। নিলামের ক্রেতাকেও পুরো শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হবে।
এনবিআরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুল্কমুক্ত সুবিধার গাড়ির সবচেয়ে বেশি অপব্যবহার করেছেন বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা। এ প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করতে আসা ৫৩ জন বিদেশি কর্মকর্তা মেয়াদ শেষে চলে গেছেন। তাদের গাড়িগুলোর খোঁজ নেই। অনেকে গাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।