৪-০ গোলে হারালো ফরাসি জায়ান্টরা বার্সেলোনাকে রীতিমতো উড়িয়ে দিলো প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। ইউয়েফা চ্যাাম্পিয়ন্স লীগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে স্প্যানিশ জায়ান্টদের । এতে কোয়ার্টার ফাইনাল প্রায় নিশ্চিতম করে ফেলেছে পিএসজি। শেষ আটে উঠতে হলে ৮ মার্চ ফিরতি লেগে ইতিহাস গড়তে হবে বার্সেলোনাকে। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ইতিহাসে নকআউট পর্বের প্রথম লেগে ৪-০ গোলে হেরে পরের রাউন্ডে যাওয়ার কোনো ঘটনা নেই। চ্যাম্পিয়ন্স লীগে এরচেয়ে বড় হারের ঘটনা বার্সেলোনার আর নেই। এর আগে কাতালানের ক্লাবটি তিনবার ৪-০ গোলে হেরেছে। সেগুলো ছিল ১৯৯৪ সালে ইন্টার মিলান, ১৯৯৭ সালে ডায়নামো কিয়েভ ও ২০১৩ সালে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে।
এই ম্যাচের আগে স্পষ্ট ফেভারিট ছিল বার্সেলোনা। তাদের দলে রয়েছে ‘এমএসএন’খ্যাত লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারজে ও নেইমারের মতো তারকা খেলোয়াড়রা। তাদের মতো খেলোয়াড়দের রুখে দেয়া যে কোনো দলের ডিফেন্ডারদের জন্য রীতিমতো অসাধ্য। কিন্তু পিএসজির ডিফেন্ডাররা রীতিমতো তাদেরকে এদিন বোতলবন্দী করে ফেলেন। বার্সেলোনার আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের এদিন চেনাই যায়নি। পুরো ম্যাচে প্রতিপক্ষের গোলমুখে অনটার্গেটে মাত্র একটি শট নিতে পারে বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা। সেটাও ছিল ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার মাত্র ৭ মিনিট আগে। তবে স্যামুয়েল উমতিতির নেয়া সেই শটটি দারুণভাবে রুখে দেন পিএসজির গোলরক্ষক ট্র্যাপ। অন্যদিকে পিএসজির খেলোয়াড়রা বার্সেলোনা গোলমুখে অনটার্গেটে ১০ শঠ নেয়। ২০০৩-০৪ মৌসুমের পর চ্যাম্পিয়ন্স লীগে বার্সেলোনার গোলমুখে অনটার্গেটে দ্বিতীয় দল হিসেবে সর্বোচ্চ ১০ শট নিলো কোনো দল। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এই কাজ করে বায়ার লেভারকুসেন।
এই ম্যাচের আগে বার্সেলোনার প্রতি হুমকি ছুড়ে দিয়েছিলেন পিএসজি’র আর্জেন্টাইন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। তিনি বলেছিলেন, ‘বার্সেলোনাকে শেষ ষোলো থেকে বিদায় করে দিয়ে ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে আমরা মাঠে নামবো।’ তার সে হুঙ্কার যে শুধু মুখের ছিল না সেটা বুঝা গেলো মাঠে নামার পর। তিনি এদিন এই করেন জোড়া গোল। আরো একটি বোল বানিয়ে দেন তিনি। এতে বার্সেলোনার বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। নিজেদের মাঠে ম্যাচের ১৮তম মিনিটে পিএসজিকে এগিয়ে দেন অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। ৪০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জুলিয়ান ড্রাক্সলার। এই গোলে ছিল ডি মারিয়ার অবদান। এরপর ৫৫ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলে পিএসজিকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন ডি মারিয়া। আর ৭১ মিনিটে বার্সেলোনার কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকে দেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার এডিনসন কাভানি।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 | 31 |