প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন না করার জন্য গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহম্মদ ইউনূসকে দায়ী করেছেন । মঙ্গলবার সকালে একনেকের বৈঠকে ইঙ্গিতে ইউনূসকে দায়ী করলেও প্রধানমন্ত্রী সরাসরি তার নাম বলেননি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একজন ব্যক্তির স্বার্থের কারণে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। পদ্মাসেতুর কাজের গতি কমেছে।’
২০১০ সালে পদ্মা সেতুর কাজ শুরুর কথা থাকলেও ওই বছর দুর্নীতি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলে অর্থায়ন স্থগিত করে বিশ্বব্যাংক। পরে ২০১৩ সালের ৩০ জুন অর্থায়ন বাতিল করে তারা। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বারবার দুর্নীতির অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করা হয়। আওয়ামী লীগ নেতারাও দুর্নীতির অভিযোগের বিরোধীতা করে বক্তব্য দিয়ে আসছিল।
গত শুক্রবার কানাডার আদালতে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি চেষ্টার অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ হওয়ার পর থেকে আরও সরব হয়ে ওঠে আওয়ামী লীগের নেতারা। এই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন না করার পেছনে ইউনূসের হাত ছিল বলে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিভিন্ন আলোচনায় উঠে আসে।
গত রবিবার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি জাতীয় সংসদকে জানান, ড. মুহম্মদ ইউনূসের ব্যক্তিগত ৫৪ প্রতিষ্ঠানে ব্যাংকের টাকা সরানোর অভিযোগের তদন্তের কারণেই বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন নিয়ে টালবাহানা করেছে। সে সময় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তার বৈঠকের নানা ঘটনাও তিনি সংসদে প্রকাশ করেন। সেদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমও পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতি চেষ্টার অভিযোগ তোলার পেছনে ড. ইউনূসকে দায়ী করে কথা বলেন।
একনেকের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের ভাগ্য গড়ার জন্য কাজ করছে। তাই শুরু থেকেই আমরা বলে আসছি পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা। একজন ব্যক্তির স্বার্থে আঘাত না লাগলে, এতোদিনে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যে পরিবর্তন ঘটতো।
শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ তোলায় সাবেক সেতু সচিব ও বর্তমান শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোশারফ হোসেন ভূইয়াকে জেল খাটতে হয়েছিল।