শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ঢাকা বোর্ডের গণিত পরীক্ষা বাতিলের ইঙ্গিত দিয়েছেন । তিনি বলেছেন, ‘তদন্তে গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি প্রমাণিত হলে অব্যশই আমরা গণিত পরীক্ষা বাতিল করবো।’
সোমবার রাতে ঢাকাটাইমসকে মুঠোফোনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যে বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে সেটির সঙ্গে আসল প্রশ্নের মিলিয়ে দেখছি। এটি নিয়ে তদন্ত কমিটি কাজ করছে। প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পেলে গণিত পরীক্ষা বাতিল হবে। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিজি প্রেসে বিশাল সিন্ডিকেট। সেখানে আমরা মাসের পর মাস পুলিশ পাহারা বসিয়েছি। সেখান থেকে প্রশ্ন ফাঁস ঠেকিয়েছি। কিন্তু পরীক্ষার হলে দুই ঘণ্টা আগে আমাদের প্রশ্ন বিতরণ করতে হয়। সেখানে যদি শিক্ষকরা আমানতের খেয়ানত করেন তাহলে আমরা যাবো কোথায়। আর তাদের নৈতিকতাই বা থাকলো কোথায়। এটা আজ জাতির কাছে প্রশ্ন থাকলো।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে ভরসার জায়গায় আমরা আটকে যাচ্ছি। একের পর এক নতুন সিস্টেম চালু করছি আর আটকে যাচ্ছি। শিক্ষকরা আমাদের নিরাপদ জায়গা। সেখানেও যদি আমরা আস্থা না রাখতে পারি তাহলে আমরা যাবো কোথায়।’ তবে প্রশ্ন ফাঁসরে সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের রেহাই পাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘এবার শিক্ষকদের আমরা স্মার্টফোন আনতেও নিষেধ করেছিলাম। তারপরেও যারা এনেছেন এবং এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রবিবার অনুষ্ঠিত গণিত পরীক্ষার আগেই হোয়াটস অ্যাপে পাওয়া প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এনিয়ে ব্যাপক আলোচনার সূত্রপাত ঘটে। পরীক্ষার আগের দিন রাতে যে প্রশ্ন ফেসবুক ও ওয়াটস অ্যাপে প্রকাশ হয় সেটি আসল প্রশ্ন নয় দাবি করেন মন্ত্রী জানান, সকালে যেটি ফাঁস হয়েছে সেটির সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নের মিল আছে। পরীক্ষা শুরুর ৪০ মিনিট আগে গণিতের প্রশ্ন পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে চলে আসে বলে ধারণা করছেন তিনি।