কোতোয়ালীতে প্রতিপক্ষের ছুকিকাঘাতে সরকারি সিটি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সম্মান শ্রেণীর তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী ইয়াছিন আরাফাত নিহত হওয়ার ঘটনায় নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারন সম্পাদক নূরুল আজিম রনি এক যুক্ত বিবৃতি দিয়েছেন।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিবৃতিটি আশরাফ উদ্দীন টিটু স্বাক্ষরিত সিটিজিনিউজকে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলেন, বিভিন্ন জাতীয় এবং আঞ্চলিক পত্রিকায় প্রকাশিত “রেয়াজউদ্দিন বাজারে ছাত্রলীগ দু’গ্র“পে সংঘর্ষে এক জন নিহত” প্রকাশিত সংবাদটি আমাদের দৃষ্টি গোছর হয়।
বলেন, আমরা রাজনীতিতে হানাহানি চাই না। আমরা নীতিহীন আদর্শহীন ও চরিত্রহীন কোন নেতৃত্ব চাইনা। ছাত্র কল্যান মুখী কর্মকান্ড দিয়ে নগরীর প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আদর্শের বার্তা পৌঁছাতে দীর্ঘদিন কাজ করে আসছি। কোন কলেজের কোন নেতা কর্মী হতাহত হবেন এটা যেমন আমরা কামনা করিনা ঠিক তেমনি কোন নেতা বা কর্মী ব্যক্তিগত দ্বন্ধের কারনে মৃত্যুবরণ করলে তার দায় ভার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সংগঠন ও নিতে পারেনা।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শুধুমাত্র ছাত্র কল্যান ও দেশের স্বার্থে রাজনীতি করে। এই বিষয়বস্তুর বাইরে সংগঠনের নেতা কর্মীরা ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবন যাপনের নানা কাজে জড়িত। সেই ব্যাক্তিগত বা সমাজে নিত্য দিনের কাজে যদি অসংগতি থাকে তা সংগঠনের আওতামুক্ত হিসাবে গন্য হয়। উক্ত সংঘটিত ঘটনার এলাকাটি একটি ব্যবসায়িক এলাকা। এটি মহানগর ছাত্রলীগ আওতাধীন কোন ইউনিটের কার্যক্রম উক্ত ব্যবসায়িক এলাকায় পরিচালিত হয় না।
গতকালের ঘটনা প্রসংগে ছাত্রলীগের এই দুই শীর্ষ নেতা আরো বলেন, গণমাধ্যমে আমরা পুলিশের বরাত দিয়ে যে বক্তব্য দেখেছি তাতেও পুলিশের এক কর্মকর্তা হত্যার কারণ হিসাবে রাজনৈতিক সংঘাত কিংবা কলেজ কেন্দ্রীক গ্র“পিং এর কারণে হত্যাকান্ড নয় বলে জানিয়েছেন। ঐ পুলিশ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছিলেন অনৈতিক ব্যবসায়িক দ্বন্ধে আক্রোসের শিকার হয়ে হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে যা তারা প্রাথমিক তদন্তে জেনেছেন বলে উল্লেখ ছিল। তাই গণমাধ্যমে সত্য ও বাস্তব ঘটনা উল্লেখ করে ব্যক্তিগত সমস্যার সৃষ্ট যে কোন ঘটনার দায় সংগঠনের উপর না চাপানোর প্রতি সচেতন থাকার আহবান জানিয়েছেন নগর ছাত্রলীগ।