বাংলাদেশকে ৪৫৯ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে স্বাগতিক ভারত।৪১৮ রান তাড়া করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেতার ম্যাচটির কথা জানা থাকলে হায়দরাবাদ টেস্টে বাংলাদেশকে নিয়ে কেউই হয়তো রঙিন স্বপ্ন দেখবে না। টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডটি এ্রখনও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে।
বাংলাদেশ যে জয়ের জন্য খেলছে না, সেটাও পরিস্কার। এরচেয়ে বড়, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১০৩ রান তুলতেই সেরা তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসেছে বাংলাদেশ। যদিও রানের হিসাব বাদ দিয়ে দিন পার করার হিসাবটাই সবাই গুণছে এখন। তবে ড্র করতে হলেও পুরো একটি দিন ব্যাট করতে হবে বাংলাদেশকে।
সে পথ পাড়ি দিতে বাংলাদেশের ঝুলিতে আছে সাত ব্যাটসম্যান। এরমধ্যে ব্যাট চালাতে পারেন পাঁচজন। সব মিলিয়ে আরও একটি কঠিন পরীক্ষার মুখে মুশফিকবাহিনী। কারণ চতুর্থ ইনিংসে এতটা লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং করাটা বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে খুব কমই আছে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ইতিমধ্যে ৩৫ ওভার ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। ড্র করতে হলে অন্তত একটি উইকেট হাতে রেখে আরও ৯০ ওভার শেষ করতে হবে সাকিব-মুশফিক-সাব্বিরদের। সব মিলিয়ে ১২৫ ওভার ব্যাটিং করা হবে। সেটা করতে পারলে ভারতের মাটিতে রেকর্ডই হবে। ভারতের মাটিতে খেলতে এসে চতুর্থ ইনিংসে ১২৫ ওভারের বেশি ব্যাটিং করার নজির আছে মাত্র তিনটি। সেদিক থেকে এটা হবে চতুর্থ।
চতুর্থ ইনিংসে দীর্ঘ সময় ব্যাট করার দিক থেকে অনেক আগের বাংলাদেশই এগিয়ে। ২০০৫ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে ১৪২ ওভার ব্যাট করে ম্যাচ ড্র করেছিল বাংলাদেশ। ২০০৮ সালে এসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে ১২৬.২ ওভার ব্যাট করেও হার মানে মোহাম্মদ আশরাফুলেরে দল।
এবার পরীক্ষার নাম ভারত। পেস আক্রমণে সামলাতে হবে ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব এবং ভুবনেশ্বর কুমারদের। এছাড়া বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকেও মোকাবেলা করতে হবে শেষদিনের টার্নিং উইকেটে। মাঝে মধ্যে বরীন্দ্র জাদেজাও হয়ে উঠতে পারেন ভয়ঙ্কর। সব মিলিয়ে হায়দরাবাদ টেস্টের শেষ দিনে অগ্নিপরীক্ষা দিতেই মাঠে নামতে হবে বাংলাদেশকে।