আদালত হাইকোর্টে স্থায়ী নিয়োগ পাওয়ার নির্দেশনা চেয়ে বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীর করা রিট নিষ্পত্তি করে তাকে আপিল বিভাগে যাওয়ার আদেশ দিয়েছেন । বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি করে পর্যক্ষেণসহ আদেশ দেন। আদালতে ফরিদ আহমদ শিবলীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
মনজিল মোরসেদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমাদের আবেদন নিষ্পত্তি করে আদালত আপিল বিভাগে যেতে বলেছেন। একইসঙ্গে কতগুলো নির্দেশনা দিয়েছেন।
মনজিল মোরসেদ রিটের বিষয়ে বলেন, তার নিয়োগ স্থায়ী না করার সিদ্ধান্ত সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ ও মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী। তাই রিটে তার নিয়োগ না দেয়াকে কেন বাতিল ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে। এছাড়া বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীকে স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না এবং তাকে স্থায়ী করার আগ পর্যন্ত হাইকোর্টে নতুন নিয়োগ বন্ধের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, আই্ন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এই রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীসহ ১০ জনকে ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দুই বছরের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৩ ফেব্রুয়ারি তারা শপথ গ্রহণ করেন। এই ১০ বিচারপতির মধ্যে আটজনকে গত ৭ ফেব্রুয়ারি স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হয়। স্থায়ী হওয়া আট বিচারপতি আজ তারা শপথ গ্রহণ করেছেন।
এদিকে বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীকে স্থায়ী করা হয়নি। এছাড়া বিচারপতি জ্যোতির্ময় নারায়ণ দেব চৌধুরী গত ডিসেম্বরে মারা যান।
বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলী ১৯৮৩ সালে সহকারী জজ হিসেবে বিচার বিভাগে যোগ দেন। ২০০৪ সালে তিনি দায়রা জজ হন। ২০১৫ সালে তাকে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। ওই বছরেই তাকে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্টে নিয়োগ দেয়া হয়।