বিশ্বের ২৮তম বৃহৎ অর্থনীতি ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে ক্রয়ক্ষমতার সমতার (পিপিপি) ভিত্তিতে। আর একই হারে এগোতে থাকলে ২০৫০ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার দাঁড়াবে ২৩তম অবস্থানে। বর্তমানে এ হিসাবে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩১তম বৃহত্তম অর্থনীতি। যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক পেশাদারী সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটারহাউজ কুপার্স (পিডব্লিউসি)-এর একটি বৈশ্বিক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। বিভিন্ন দেশ আগামী ৩৪ বছরে অর্থনৈতিকভাবে কতটা অগ্রগতি করবে, তা নিয়েই ওই গবেষণা করা হয়। ‘দ্য লং ভিউ: দ্য গ্লোবাল ইকোনমিক অর্ডার চেঞ্জ বাই ২০৫০?’ (কীভাবে ২০৫০ সাল নাগাদ পরিবর্তিত হবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ক্রম?’) শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী ৩৪ বছর ধরে বিশ্বের শীর্ষ ৩ বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি হতে পারে বাংলাদেশ। ভিয়েতনাম ও ভারত হলো অবশিষ্ট দু’টি দেশ। এতে বলা হয়, ২০৫০ সাল নাগাদ পিপিপি’র ভিত্তিতে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ছাড়িয়ে যাবে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ¯েপন, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডের মতো দেশকে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতি সাধারণ হিসাবে বিশ্বের ৪৪তম। কিন্তু পিপিপি’র ভিত্তিতে ৩১তম। পিপিপি পদ্ধতিতে একটি দেশের জনগণের জীবন ধারণের ব্যয় বিবেচনায় নেওয়া হয়। ফলে দুই হিসাবে ফলাফলের তারতম্য ঘটে। পিডব্লিউসির হিসাবে, ২০৫০ সাল নাগাদ পিপিপি’র ভিত্তিতে বিশ্বের এক নম্বর অর্থনীতি হিসেবে চীন নিজের জায়গা অটুট রাখবে। দুই নম্বরে থাকা যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে জায়গা বদল করে তিনে নামবে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে উপরে থাকবে ভারত ছাড়া কেবল পাকিস্তান (১৬)।
প্রবৃদ্ধির দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে ভিয়েতনাম, ভারত ও বাংলাদেশ। ২০১৬ থেকে ২০৫০ পর্যন্ত বাংলাদেশের গড় প্রবৃদ্ধি থাকবে ৫ শতাংশের কাছাকাছি। এছাড়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালে বাংলাদেশের জিডিপি (পিপিপি) দাঁড়াবে ১৩২৪ বিলিয়ন ডলারে। একই হার অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালে তা দাঁড়াবে ৩০৬৪ বিলিয়ন ডলারে। বর্তমানে বাংলাদেশের জিডিপি ৬২৮ বিলিয়ন ডলার।
দ্রুত বর্ধনশীল দেশ হিসেবে ভিয়েতনাম, ভারত ও বাংলাদেশ স¤পর্কে সামগ্রিকভাবে রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ দেশগুলো নিজেদের দ্রুত বর্ধনশীল কর্মক্ষম জনসংখ্যার কারণে লাভবান হবে। কারণ, এর ফলে দেশটির ঘরোয়া চাহিদা ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। তবে এ কর্মক্ষম শ্রেণির জন্য প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও বিনিয়োগও দরকার হবে। এসব দেশগুলোর জন্য এসব সম্ভাবনা বাস্তবে রূপ দিতে হলে, টেকসই অর্থনৈতিক সংস্কার, সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচক, প্রতিষ্ঠান শক্তিশালীকরণ ও গণশিক্ষা শক্তিশালীকরণ দরকার হবে। এর ফলে দেশগুলোর বর্ধিষ্ণু কর্মক্ষম শ্রেণি দেশের দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক অবদান রাখতে পারবে।
বাংলাদেশ স¤পর্কে আরও বলা হয়, চীনের জনসংখ্যার বয়স বাড়ছে। সত্যিকারের শ্রমব্যায়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দেশটির অনেক কর্মসংস্থান ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে চলে যেতে পারে, যেখানে শ্রমব্যায় তুলনামূলক কম।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |