গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন আবাসন খাতে মন্দা টাকাতে ফ্ল্যাট কিনলে ক্রেতাদের টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন না করতে জাতীয় রাজস্ব রোর্ড ও দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের একটি হোটেলে রিহ্যাব ফেয়ার-২০১৭ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। রেডিসন ব্লু হোটেলের মেজবান হলে চার দিনের এই মেলা চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত। মেলায় ৭২টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৯০টি স্টল আছে। এতে আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো ধরনের মূল্য ছাড়সহ নানা আকর্ষণীয় অফার নিয়ে এসেছে। সেই সঙ্গে ব্যাংকের ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাসও দিচ্ছে তারা।
গত কয়েক বছর ধরেই ফ্ল্যাটের ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে বলে আসছেন আবাসন ব্যবসায়ীরা। এমনকি দাম কমার পরও বিক্রি হচ্ছে না হাজার হাজার বাড়ি। এ জন্য নানা ধরনের প্রণোদনা চাইছেন আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব সদস্যরা। এ জন্য ক্রেতার টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে না চাওয়ার দাবি ছিল। এ বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই বলে জানালেন গৃহায়নমন্ত্রী । বলেন, ‘সরকারের কিছু প্রণোদনা দিতে হবে।’
আবাসন ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা আপনারা অ্যাপর্টমেন্ট করেন- আপনারা রড, সিমেন্ট, টাইলস, কমোড, গ্লাস, ডোরসসহ আড়াইশ ধরনের উপকরণ লাগাচ্ছেন, এগুলো ট্যাক্স-ভ্যাট দিয়ে আসছে। তারপর অ্যাপার্টমেন্ট করছেন। এরপরে ১৪ পারসেন্ট আবার রেজিস্ট্রেশন ফিও দিচ্ছেন। এরপরে যদি এনবিআর-দুদক এসে বলে যে, আপনি টাকাটা কোথা থেকে পাইলেন? এটা হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘হাউজিং সেক্টরে ১৪ পারসেন্ট রেজিস্ট্রশন ফি দিচ্ছে। এরপরে জিজ্ঞেস করতেছে, এনবিআরের চেয়ারম্যান… যে আপনি কোথায় টাকা পাইলেন। দুদক এসে বলতেছে কোথা থেকে টাকা পাইলেন। এটা থেকে মুক্ত করতে হবে। না করলে এখান থেকে টাকা চলে যাবে। মানুষ বাইরে অ্যাপার্টমেন্ট কিনবে।’
অ্যাপার্টমেন্টের নিবন্ধন ফি কমাতে আবাসন ব্যবসায়ীদের দাবির সঙ্গেও একমত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী। বলেন, তিনিও চান এটা ১৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাত শতাংশ করা হোক।
রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, রিহ্যাবের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল কৈয়ূম চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।