প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয় এমন কোনো ঘটনা ঘটুক সেটা সরকার চায় না বলে জানিয়েছেন ।
বুধবার ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধশালী, শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। কাজেই আমরা চাই না যে, এখানে এমন কিছু ঘটুক যাতে আমাদের চলমান উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।’
ডিএসসিএসসির ২০১৬-২০১৭ কোর্সের গ্রাজুয়েশন প্রদান উপলক্ষে মিরপুর সেনানিবাসের শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ডিএনসিএসসির গ্রাজুয়েটদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এবছর ২৮০ জন কর্মকর্তা গ্রজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। যারমধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৫৮ জন, নৌবাহিনীর ২৭ জন, বিমানবাহিনীর ২৪ জন এবং ৭১ জন বিদেশ থেকে আগত সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য রয়েছেন।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সশস্ত্রবাহিনীসহ সবাইকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ শুধুমাত্র বাংলাদেশেই নয় এখন বিশ্বব্যাপী একটি উদ্বেগজনক সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এই সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে সরকার জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদসদেরও এই গণসচেতনতা সৃষ্টির কাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। সশস্ত্রবাহিনীরও এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধশালী, শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। কাজেই আমরা চাই না যে, এখানে এমন কিছু ঘটুক যাতে আমাদের চলমান উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় সমাজের সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহবান জানান তারা যেন নিজ নিজ সন্তান সস্তুতির দিকে ঠিকমত খেয়াল রাখেন যাতে করে কেউ আর এই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ এবং মাদকাশক্তির পথে পা বাড়াতে না পারে।
অনুষ্ঠানে ডিএসসিএসসি’র কমানডেন্ট মেজর জেনারেল মো. শফিউল আবেদীন স্বাগত বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কূটনিতিক, উচ্চ পর্যায়ের সামরিক ও বেসামারক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।