যদিও শীর্ষ পুলিশ প্রশাসন আদালতের রায় বাস্তবায়নে যথেষ্ট আন্তরিক।চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের যোগসাজসে নগরীর থানা পুলিশ অর্থের বিনিময়ে নিজ নিজ থানা এলাকার সড়ক ও অলিগলিতে অবাধে অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিক্সা চালানোর  সুযোগ করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনেও থানা পুলিশের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে সংগঠণ থেকে জানানো হয়।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কনফারেন্স হলে সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম নাছির উদ্দিনের সাথে চট্টগ্রাম মহানগর রিকশা মালিক পরিষদ কেন্দ্রিয় ও শাখা প্রতিনিধিদের এক মতবিনিময় সভায় এ অভিযোগ উত্থাপন করা হয়।

নিবন্ধনকৃত লাইসেন্সবিহীন কোন অবৈধ রিকসা মহানগরে চলতে দেওয়া হবে না জানিয়ে সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম নাছির উদ্দিন রিক্সা মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী ১ মাসের মধ্যে সিটি ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করা হবে। যদি কেউ আইন অমান্য করে অবৈধ রিক্সা রাস্তায় নামায় তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসময় মেয়র  আ.জ.ম নাছির উদ্দিনকে রিকশা মালিক পরিষদের পক্ষ থেকে দাবিদাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

পরিষদের সভাপতি মো. ছিদ্দিক মিয়ার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আসিফ মাহমুদ আক্তার এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ওয়াজি উল্লাহ্, মুজিবুর রহমান, সহসাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, মো. ইব্রাহিম, সহসভাপতি মজিবুর রহমান, মোফাজ্জল আহমদ লেদু, নুরুল ইসলাম, রফিক কোম্পানি, কোষাধ্যক্ষ বিশ^নাথ ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তছলিম, প্রচার সম্পাদক মো. আবদুল করিম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. সেকান্দর, দপ্তর সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন, কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী, খুরশিদ আলম, মো. আবদুর রব, মোঃ  ইস্রাফিল,  মো. ইলিয়াছ, মো. দুলাল (দুলু), ইস্কান্দর বাবুল, মো. আজম, ইমাম হোসেন রাজু, মোঃ তসলিম কোম্পানী, মোঃ আলী, মো: করিম, মোঃ সেকান্দর আলী, মোঃ আলাউদ্দীন, মোঃ খুরশিদ,চন্দন খাস্তগীর, আজগর কোম্পানী, মোঃ ইমাম হোসেন রাজু, সঞ্জয় কুমার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

পরে মেয়রের বক্তব্যকে সমর্থন করে পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়াটার্স ‘ব্যাটারিচালিত রিকশা সমূলে উৎপাটন করণের’ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা কার্যকরী করার জন্য নগর পুলিশের সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ ও শাখাকে ২৯/১২/২০১৬ তারিখে এক পত্র প্রেরণ করে। এই পত্র প্রেরণের পর চার থেকে পাঁচ দিন নগরীর থানা এলাকাগুলোতে ব্যাটারি রিকশা চলাচল প্রায় দেখাই যায়নি এবং ধারনা করা হয়েছে থানা পুলিশসহ মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন আদালতের রায় বাস্তবায়নে কঠোর মনোভাব গ্রহণ করেছেন। বক্তাগণ গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সাথে বলেন, এর মাত্র পাঁচ-ছয়দিনের মাথায় থানা এলাকার সড়ক ও উপসড়কগুলেতে ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশা দৌর্দ- প্রতাপে পুনরায় চলাচল শুরু করে। যা আদালতের রায়ের প্রতি অবজ্ঞা ও অমর্যাদা ছাড়া আর কিছুই নয়।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031