আজই তারা রাষ্ট্রপতির কাছে নাম সুপারিশ করতে যাচ্ছেন বলে গুঞ্জন আছে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশনে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করতে গঠিত সার্চ কমিটি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদের মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই দিন আগে এই সাক্ষাৎকে নিয়ে জল্পনা-কল্পনা তৈরি হয়েছে।
গত ২৫ জানুয়ারি ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশ জমা দিতে বলা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার নির্বাচন কমিশনার পদে তারা মোট ১০টি নাম প্রস্তাব করবে। আগামীকালই শেষ হচ্ছে এই সময়সীমা। আগের সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে সময় নিয়েছে সার্চ কমিটি।
পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনে এবার প্রথমবারের মতো নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন একজন নারী। সার্চ কমিটি গঠন করে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ বিষয়ে সুপারিশ করতে বলা হয়। ফলে সার্চ কমিটি আটজন পুরুষ এবং দুইজন নারীর নাম সুপারিশ করতে যাচ্ছেন।
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি নিজেদের মধ্যে তিন দফা বৈঠক ছাড়াও প্রথমে ১২ বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং পরে আরও চারজনের সঙ্গে বৈঠক করেছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়া ৩১টি দলের মধ্যে ২৬টি দলের কাছ থেকে পাঁচটি করে নাম জমা নিয়েছে তারা। বাকি দলগুলোর চারটি সার্চ কমিটিতে নাম দেয়নি আর একটি দল নির্ধারিত সময়ের পর নাম জমা দেয়ায় তা গ্রহণযোগ্য হয়নি।
রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে পাওয়া ১৩০টি নামের মধ্য থেকে ২০টি নাম নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা করে সার্চ কমিটি নিজেদের মধ্যে সবশেষ বৈঠকে বসে গত বৃহস্পতিবার। সেদিনই আজ আবার বৈঠকের কথা জানানো হয়।
সার্চ কমিটির সদস্যরা সুনির্দিষ্ট করে না বললেও ধারণা করা হচ্ছে আজকের বৈঠকেই ১০টি নাম চূড়ান্ত হবে।
সার্চ কমিটির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করা মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম জানিয়েছেন, সার্চ কমিটি যে ২০টি নামের তালিকা জমা দিয়েছে, এর বাইরে থেকেও নাম জমা দেয়া হতে পারে। সবই কমিটির সদস্যদের এখতিয়ার।
গত বৃহস্পতিবারের বৈঠক শেষে জানানো হয়, সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা ২০ জনের বিষয়ে নানা সূত্র থেকে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ নিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত মোট ৩১টি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। আর এই সংলাপ শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ পর গঠন করা হয় সার্চ কমিটি।
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে এই কমিটিতে আছেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুর রহমান, মহা হিসাব নিরীক্ষক মাসুদ আহমেদ, সরকারি কর্মকমিশন-পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বিভাগের উপউপাচার্য শিরীণ আখতার।
২০১২ সালেও বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেয়ার আগে সে সময়ের রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান একই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিয়েছিলেন।