তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি’র কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক সোহরাব মিয়া চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির মামলায় শাহরিয়ার ইসলাম শাওনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছেন। গতকাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এই প্রতিবেদন দাখিল করেন তিনি। প্রতিবেদন দাখিলের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের সংশ্লিষ্টরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মাহিয়া মাহির সঙ্গে অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশের অভিযোগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহরিয়ার ইসলাম শাওনের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করেছিলেন মাহি। তদন্তকালে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলা থেকে তাকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ৭ই মার্চ এই প্রতিবেদন ঢাকার সাইবার অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তোলা হবে।
গত বছরের ২৫শে মে সিলেটের এক ব্যবসায়ীর পুত্র পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেন মাহি। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাহি ও তার বন্ধু শাওনের বিভিন্ন ছবি প্রকাশ পায়। ছবিগুলো ভাইরাল হলে ২৭শে মে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭/২ ধারায় মামলা করেন মাহি। পরের দিন সকালে দক্ষিণ বাড্ডার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শাওনকে। মাহি তার মামলায় অভিযোগ করেন, শাওনের সঙ্গে তার কিছু অন্তরঙ্গ ছবি কয়েকটি অনলাইন নিউজপোর্টাল এবং ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে শাওন। এ ঘটনার সঙ্গে শাওন ছাড়াও তার বন্ধু হাসান, আল আমীন, খাদেমুল এবং শাওনের খালাত ভাই রেজওয়ান জড়িত বলে তার ধারণার কথা উল্লেখ করেন।
কিন্তু শাওনের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মাহির সঙ্গে শাওনের বিয়ে হয়েছিলো। শাওনকে ডিভোর্স না দিয়েই দ্বিতীয় বিয়ে করেন মাহি। ওই সময়ে মামলাটি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটে হস্তান্তর করা হয়। শাওনকে দুই দিনের রিমান্ডে নেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ১৬ই জুন জামিনে মুক্ত হন শাওন।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সমঝোতার মাধ্যমে মাহি নিজেই অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। শেষ পর্যন্ত ওই মামলার অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দিতে আদালতে আবেদন করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031