বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন্স বার্নিকাট বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়ে রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করছে বলে মন্তব্য করেছেন । তিনি বলেছেন, ‘প্রতিটি মানুষেরই দায়িত্ব রোহিঙ্গাদের সহয়তা করার। আমি জানি বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অনেক দেশ মিয়ানমারের এই পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে।’
বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত জাগো ফাউন্ডেশন আয়োজিত ন্যাশনাল উইথ অ্যাসেম্বলি ২০১৭-এর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

বার্নিকাট বলেন, ‘যেসব রোহিঙ্গারা বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছে তারা সবাই যেন নিরাপদে থাকতে পারে সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়া তাদের প্রয়োজনে মানবিক সহায়তা, চিকিৎসা সেবা এবং শিক্ষার সুবিধা দেওয়া উচিত। এছাড়া তারা যেন নিরাপদে দেশে ফিরতে পারে সেদিকে আমাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।’
বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের ২০০ জন যুব প্রতিনিধি অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই অ্যাসেম্বলির দ্বিতীয় দিনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক।

এর আগে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি জানতে এবং শরণার্থী শিবিরগুলো পরিদর্শন করতে গত সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে বিশেষ বিমানে করে বার্নিকাটসহ ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল কক্সবাজার পৌঁছান। পরে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি দলটি টেকনাফের নয়াপাড়ার নিবন্ধিত শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন। সেখান থেকে লেদার অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে যান।
এদিকে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরেজমিনে দেখতে গত ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসেন কফি আনান কমিশনের তিন সদস্য। তারা হলেন- মিয়ানমার নাগরিক উইন ম্রা ও আই লুইন এবং লেবাননের নাগরিক ঘাসাম সালামে। এরপর গত ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তারা কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালি নতুন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শণ করে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা শোনেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের ভেতরে সন্ত্রাসীদের হামলায় ৯ পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পর তার দায় চাপানো হয় রোহিঙ্গাদের ওপর। আর তখন থেকেই শুরু হয় সেনাবাহিনীর দমন প্রক্রিয়া। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৯ অক্টোবর থেকে মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর অন্তত ৬৬ হাজার সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031