র্যাবের সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মোহাম্মদ নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের মামলায় ফাঁসির দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেছেন।
মঙ্গলবার তারেক সাঈদের পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিলটি দাখিল করেন তার আইনজীবী আহসান উল্লাহ।
এর আগে, একই মামলায় খালাস চেয়ে সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় নূর হোসেনের পক্ষে আপিল দায়ের করেন তার আইনজীবী এস আর এম লুৎফর রহমান।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই ঘটনায় প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে একটি এবং সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় দু’টি মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাত খুনের দুটি মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এ মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৩ জন কারাগারে আটক রয়েছেন। আর চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখনও ১২ জন পলাতক রয়েছে।
আসামিদের দেওয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি ও নানা সাক্ষ্য প্রমাণের উপর দীর্ঘ শুনানি শেষে মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন।
চলতি বছর ১৬ জানুয়ারি আলোচিত এ মামলার অন্যতম আসামি নূর হোসেন ও র্যাব-১১ এর তৎকালীন অধিনায়ক সাবেক সেনা কর্মকর্তা তারেক সাঈদসহ ২৬ জনের ফাঁসি এবং বাকি নয় আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রায় প্রদানের পরে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেন ও তারেক সাঈদকে বেশ বিচলিত দেখা গেছে। তবে রায় পড়ার পুরো সময় তাদের হাসিখুশি দেখা যায়।