প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ঢাকা মহানগর আদালত দ্রুত কেরানীগঞ্জে স্থানান্তর করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন । ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেসি কোর্ট কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরের জন্য একবার সুপারিশ করা হয়েছিল এবং আইনজীবীরাও রাজি ছিল। কিন্তু  অজ্ঞাত কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। এখন কয়েদিদের নিরাপত্তার কারণেই ম্যাজিস্ট্রেসি কোর্ট কেরানীগঞ্জে দ্রুত স্থানান্তর করা প্রয়োজন। কেরানীগঞ্জে ম্যাজিস্ট্রেসি কোর্ট স্থানান্তর হলে আসামিদের কোর্টে আনা নেয়ার ভোগান্তি কমে যাবে। সরকারের অর্থের অনেক সাশ্রয় হবে। গতকাল সকালে কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, গাজীপুরে একবার আসামি নেয়ার সময় গাড়ি থেকে আসামি ছিনতাই করা হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি বলেন, কারাগারে সাধারণ অপরাধী ও দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা থাকে। হাজার হাজার মামলা রয়েছে। আসামিরা সময় মতো হাজিরা দিতে পারে না। আমি বিচারপতিদের বলেছি দ্রুত বিচার কার্য শেষ করার জন্য। এই কারাগারে অনেক বিডিআর আসামি রয়েছে। তাদের দণ্ডাদেশ দ্রুত কার্যকর করা হবে। যারা নির্দোষ প্রমাণিত হবে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। কারাগারের বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণে এলাকাবাসীর সঙ্গে কোনো মামলা হলে তার দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারাগারে কোনো আসামি বিনা বিচারে আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য আমি চারজন রেজিস্ট্রার সঙ্গে নিয়ে এসেছি। ওই মামলাগুলো নোট করে নিয়ে যাবো। সেগুলোর বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, আমি কাশিমপুর কারাগারে ১০০ বই দিয়েছি। এই কারাগারে ১০০ বই দিলাম। কয়েদিদের জন্য এখানে একটি লাইব্রেরি করা হবে। তিনি বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে একজন সাবেক বিচারপতিকেও ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত হতে হয়। রাজার কথা রাজা না শুনলে তারও দণ্ড পাওয়া উচিত। রাজা যদি রাজার কথা না শোনে তাহলে জনগণ শুনবে কার কথা। জনগণ তো রাজাকেই অনুসরণ করবে। ইংল্যান্ডে একজন বিচারক কয়েদি বেশে কারাগারে কয়েদিদের কী ধরনের দুঃখ কষ্ট হচ্ছে তা দেখার জন্য প্রবেশ করেছিলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফতেখার উদ্দিন, ঢাকা বিভাগীয় কারা পরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুল ইসলাম, কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জাম প্রমুখ।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031