ছাত্রলীগ কর্মীদের সশস্ত্র ধাওয়ার কারণে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি বিতাড়িত হওয়া ছাত্রদল। গতকাল ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক কর্মী সশস্ত্র অবস্থায় ধাওয়া দিয়ে তাদের কলেজের মূল ফটক থেকে তাড়িয়ে দেয়। এ সময় তারা ছাত্রদলের ব্যানার ছিনিয়ে নিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পাশাপাশি এমসি কলেজের মূল ফটকের সামনেও তারা সশস্ত্র মহড়া দিয়েছে। তবে পুলিশ মহড়ার কথা অস্বীকার করেছে। সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাস এখন ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে। সম্প্রতি ছাত্রদলের এমসি কলেজ ইউনিটের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সকাল ১০টার দিকে কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক বদরুল আজাদ রানা ও সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে সরকারি কলেজের হোস্টেলের সামনে থেকে মিছিল বের করা হয়। ব্যানারসহ মিছিলটি প্রথমে সরকারি কলেজে কোনো বাধা ছাড়াই প্রবেশ করে। মিছিলটি সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস ঘুরে ফের তামাবিল সড়কে আসে। ওই সড়ক দিয়ে মিছিলটি এমসি কলেজের মূল ফটকের সামনে চলে আসে। এ সময় ফটকের সামনে ছিল শাহপরান থানা পুলিশের একটি দল। ছাত্রদল কর্মীরা মিছিল নিয়ে ফটকের সামনে আসা মাত্র এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন ও হুসেইন আহমদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের বাধা দেয়। এ সময় উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ এগিয়ে এলে ছাত্রদল কর্মীরা ব্যানার রেখে পালিয়ে যায়। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা রামদা, দা ও লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া দেয়। তারা টিলাগড় পয়েন্ট পর্যন্ত ছাত্রদলকে ধাওয়া করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে ছাত্রদল কর্মীরা ধাওয়া খেয়ে চলে যাওয়ার পর এমসি কলেজের ফটকেই তাদের ব্যানারে আগুন ধরিয়ে দেয় ছাত্রলীগ কর্মীরা। এমসি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক বদরুল আজাদ রানা বলেন, তাদের মিছিল ছিল শান্তিপূর্ণ। তারা সরকারি কলেজে কোনো বাধা ছাড়াই মিছিল করেছে। এমসি কলেজে ঢোকার মুহূর্তে সশস্ত্র ক্যাডাররা পুলিশের সহযোগিতায় তাদের ওপর হামলা চালায়। তিনি বলেন, ক্যাম্পাস হলো কলমের স্থান। এখানে অস্ত্রবাজির কোনো ঠাঁই নেই। কিন্তু রামদা, দা দিয়ে তারা ন্যক্কারজনকভাবে হামলা চালিয়েছে। তাদের সশস্ত্র মহড়ার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভয়ে পালিয়ে যায়। সিলেট জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চৌধুরী জানান, এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছিল। খবর পেয়ে কলেজ ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন ও হোসাইন আহমদের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসের বাইরে নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের মিছিলে বাধা দেন। পরে তাদের ধাওয়া করে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তবে শাহপরান থানার ওসি শাহজালাল মুন্সী জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসে অস্ত্র প্রদর্শনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ক্যাম্পাসে সকাল থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল।
এদিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে সোমবার সকালে উত্তেজনা দেখা দেয়। সম্প্রতি কলেজের ছাত্র মাহমুদুল হক রিফাতকে সভাপতি ও সজল এস চক্রবর্তীকে সাধারণ সম্পাদক করে চার সদস্যের কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। মহানগর ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে রোববার রাতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটি ঘোষণার পর রাতে ওই কমিটির সভাপতি রিফাতের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের একটি অংশ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় উভরপক্ষ ক্যাম্পাসে অবস্থান নিলে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে কলেজ ও হল প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন যাকে সভাপতি করা হয়েছে তিনি কখনো ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তাকে জুনিয়র নেতাকর্মীদের অনেকেই চেনেন না। এমন অচেনা এক ব্যক্তিকে সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, যা তারা মেনে নিতে পারছেন না।’
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 | 31 |