শুক্রবার দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।চট্টগ্রামে মাদ্রাসার মালিকানাধীন বাড়িতে বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে দুইজন মারা গেছেন।
নিহতরা হলেন দাদী ছামুদা খাতুন ও ইফতি। বিস্ফোরণের তাদের শরীরের শতভাগ পুড়ে গিয়েছিল। বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরিফকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার ভোরে নগরীর বাকলিয়া থানার দেওয়ানবাজার এলাকায় আরাবিয়া খাইরিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার মালিকানাধীন একটি ভবনে বিস্ফোরণে চারজন আহত হয়। নিরাপদ হাউজিং সোসাইটির ছয় তলা বাতির তৃতীয় তলায় ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ঘরের আসবাবপত্র, জানালার কাঁচ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। এবং ভবনের একটি দেয়াল উড়ে যায়।
ঘটনার পরপরই দগ্ধ চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করা হলে সেখানে ৭০ বছর বয়সী দাদী ছমুদা খাতুন, তার নাতনি ইফতি মারা যান। নাতি আরিফের অবস্থাও আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
এদিকে ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও বিস্ফোরণের কোনো আলমত পায়নি। পরে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, বাড়িটিতে তল্লাশি করে কোনো বিস্ফোরকের আলামত পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, গ্যাসের চুলার চাবি খোলা থাকায় ঘরে গ্যাস জমে যায়। চুলা জ্বালাতে ম্যাচের কাঠি ধরানোয় সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে গিয়ে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।