জিপিএতেও এগিয়ে। বিষয় পছন্দেও এগিয়ে। তারপরও তাকে ভর্তি হতে হয়েছে পছন্দের সাত নম্বরক্রমে। অন্যদিকে তারচেয়ে কম জিপিএ পেয়ে আরেক ছাত্র ভর্তি হয়েছে পছন্দের পাঁচ নম্বর ক্রমিকের একই বিষয়ে। একই প্রতিষ্ঠানে, একই শিফটে এমন বেহিসেবি ঘটনার হিসাব মিলাতে পারছেন না ওই ছাত্র ও তার অভিভাবকরা। এ ঘটনা কারিগরি বোর্ডের অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। এ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সেকেন্ড শিফটে ঘটেছে এমন ঘটনা। গত বছর ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে সংশ্লিষ্ট সকলকে। অভিভাবকরাও চিন্তিত বিষয়টি নিয়ে। অথচ ভর্তি
নিয়ম অনুযায়ী এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত মোট গ্রেড পয়েন্ট (জিপিএ)-এর ভিত্তিতে মেধা তালিকা প্রণয়ন করার কথা। সমান গ্রেড পয়েন্ট পাওয়া প্রার্থীদের বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে সাধারণ গণিত অথবা উচ্চতর গণিত, সাধারণ বিজ্ঞানে প্রাপ্ত গ্রেড পয়েন্ট বিবেচনা করারও কথা বলা হয়েছে ভর্তি নিয়মে। মেধা তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ভর্তির নিয়মে বলা হয়েছে, প্রার্থী নির্বাচন করা সম্ভব না হলে যথাক্রমে ইংরেজি, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নবিজ্ঞান বা জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত গ্রেড পয়েন্ট বিবেচনা করা হবে। আর অপেক্ষমাণ তালিকার ক্ষেত্রে ভর্তি নিয়মাবলিতে বলা হয়েছে, মোট আসন সংখ্যা অনুযায়ী মেধা ও কোটাভিত্তিক তালিকা প্রণয়নের পাশাপাশি একটি অপেক্ষমাণ তালিকা প্রণয়ন করা হবে। মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তিকৃত প্রার্থী পছন্দের ক্রমানুসারে প্রতিষ্ঠান/টেকনোলজিভিত্তিক মাইগ্রেশনের সুযোগ পাবে। মেধা তালিকা অনুযায়ী ভর্তির সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পর প্রতিষ্ঠান/টেকনোলজিভিত্তিক শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা হতে মেধা ও কোটার ক্রমানুসারে ভর্তি করা হবে। কাগজপত্র যাচাই করে দেখা যায়, মেধা ও অপেক্ষমাণ তালিকার কোনোটিকেই অনুসরণ করা হয়নি অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী ছাত্র কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ভর্তি কমিটির সভাপতি বরাবর আবেদন করেছে। ওই ছাত্রের নাম মো. শান্ত। তার ট্র্যাক নং-১০০১৬১১১০০৭৫৫। সে জিপিএ-৪.৮৯ পেয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ফুড টেকনোলজিতে। ক্রমিক অনুসারে তার দ্বিতীয় পছন্দ ছিল ইলেক্ট্রনিক্স টেকনোলজি। সপ্তম চয়েজ ছিল ফুড টেকনোলজি। অপেক্ষমাণ ফলাফল থেকে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রথম পর্ব দ্বিতীয় শিফটে ভর্তির সুযোগ পায় সে। রেজাল্ট শিটে দেখা যায়, জিপিএ ৪.২৮ পেয়ে একই তারিখের ফলাফলে ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজিতে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে দ্বিতীয় শিফটে ভর্তির সুযোগ পায় ৯৭৬১৬২০৩০০৫১৪ ট্র্যাক নম্বরধারী শিক্ষার্থী। এ শিক্ষার্থীরও এটি দ্বিতীয় শিফটের পঞ্চম চয়েজ ছিল। শান্তর কথা, জিপিএতেও আমি এগিয়ে। চয়েজও আমার ছিল এগিয়ে। তারপরও আমাকে দেয়া হলো সাত নম্বর চয়েজ। আর ওই ছাত্রকে তার পঞ্চম চয়েজ ইলেক্ট্রনিক্স টেকনোলজি দেয়া হলো। ভর্তির নিয়মাবলী অনুযায়ী ক্রমানুসারে সাবজেক্ট পাওয়ার কথা থাকলেও আমার ক্ষেত্রে তা হয়নি। আগামী ২রা ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা। ওই পরীক্ষার ফলাফলের পরই শুরু হবে কারিগরি বোর্ডের ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের ভর্তি। চলতি বছরও যদি এমন ঘটে তাহলে অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়ায় আস্থা হারাবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এমনটাই দাবি করেছেন বেশ কয়েকজন অভিভাবক ও শিক্ষার্থী। এ ব্যাপারে কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আপনি যেমনটি বলছেন তেমনটি হওয়ার কথা নয়। তবে বিষয়টি বোর্ড নয় দেখাশুনা করে অধিদপ্তর। তারাই বলতে পারবে এ কারণ।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 | 31 |