লেখক-পাঠকদের যেমন আগ্রহ থাকে, তেমনি বছর জুড়ে চেয়ে থাকেন প্রকাশকরাও।কড়া নাড়ছে বইমেলা। বাঙালির একটি প্রাণের উৎসবও বটে।
বইমেলাকে কেন্দ্র করে এরইমধ্যে রাজধানীর বই বাজার খ্যাত বাংলাবাজারে চলছে কর্মযজ্ঞ। দম ফেলার ফুরসত নেই শ্রমিকদের। দিন-রাতে কাজ করে বইকে পাঠকের দ্বারে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ছাপাখানা গুলোতে কাজের চাপ প্রচুর। প্রায় ২৪ ঘণ্টাই প্রেস চালু রেখেও লেখক থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বই ছাপার কাজ করা হচ্ছে। তাই নতুন কাজের ফরমাশ বাতিল করে দিচ্ছেন প্রেস মালিকেরা। এছারা বইমেলার তারিখ যতো এগিয়েছে, কাজের চাপ ততোই বাড়ছে।
ছাপাখানায় কর্মীদের ব্যস্ততা। ফাইল ছবি
রাজধানীর বাংলাবাজার, সূত্রাপুর, পুরানা পল্টন, নয়াপল্টন, ফকিরাপুল, নীলক্ষেত, কাঁটাবনের বিভিন্ন ছাপাখানা ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, অমর একুশে বইমেলাকে সামনে রেখে বই প্রকাশক, মুদ্রণ, বাঁধাই ও পরিবহনসহ এ খাতের সঙ্গে জড়িত প্রতিটি মানুষ প্রচণ্ড ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ছাপাখানা ও বাঁধাইখানাগুলোর ব্যস্ততা শুরু হয়েছে গত ডিসেম্বর থেকে।
কর্মীরা জানান, ব্যস্ততা বেড়েছে জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে। যা ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে চলবে।
একুশে বইমেলার চিত্র/ফাইল ছবি
এ দিকে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী প্রাঙ্গণেও পুরোদমে চলছে মেলার স্টল নির্মাণের কাজ। ১ ফেব্রুয়ারির আগেই এসব স্টলের কাজ শেষ করা হবে বলে জানান মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ।
তিনি জানান, বইমেলা উপলক্ষে এবার বাংলা একাডেমি ১০১টি বই প্রকাশ করবে। মেলার দুই পাশের প্রাঙ্গণে ৪০১টি প্রতিষ্ঠানের ৬৫৯টি স্টলের কাজ চলছে।
একাডেমি সূত্রে জানা যায়, অন্যান্যবারের মতো মেলা প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। তবে শুক্রবার মেলার দ্বর খুলবে সকাল ১০টায়।