ক্রেতা হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন বাংলাদেশের চিংড়ি রফতানিকারকরা। দেশের কিছু রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ইউরোপের বাজারে চিংড়ি রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধার (জিএসপি) সনদ জালিয়াতি করেছে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দুর্নীতি দমন অফিস (ওলাফ)।

শুক্রবার জাতীয় দৈনিক সমকালের  এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, খুলনার ছবি ফিশ, সালাম সি ফুডস, ইন্টারন্যাশনাল শ্রিম্পস এক্সপোর্ট, রূপালী সি ফুডস, মোফা ফিশ প্রসেসিংসহ ১৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে।

জিএসপি সনদ জালিয়াতির কারণে শুল্ক পরিশোধের চাপে আছেন ইইউর ক্রেতারাও। শেষ পর্যন্ত তাদের শুল্ক পরিশোধ করতে হলে বাংলাদেশের রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন বাংলাদেশি রফতানিকারকরা।

জানা যায়, দেশীয় এই ১৩ প্রতিষ্ঠান ২২০টি ভুয়া জিএসপি সনদে চিংড়ি রফতানি করেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে গত বছর প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।

পরে জিএসপি সনদ পুনরায় ইস্যু করে প্রতিষ্ঠানটি। তবে পুনরায় ইস্যু করা সনদ ইইউ ও বিভিন্ন দেশের কাস্টমস এবং ওলাফের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি।

ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মাফরুহা সুলতানা জানান, এ দেশ থেকে জাহাজীকরণের চালান প্রমাণ করে বাংলাদেশি মাছ রফতানি হয়েছে। এখন ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে আবারও ওলাফের কাছে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব দেওয়া হবে।

তবে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফা বলেছেন, জিএসপি সনদ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। ওই চালানগুলো বাংলাদেশ থেকেই গেছে। এ ক্ষেত্রে ওলাফের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ইতিবাচক সমাধানের সুযোগ রয়েছে।

এখন ইপিবি এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে বলে জানান তিনি।

সূত্র: দৈনিক সমকাল

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031