‘বর্তমান ইসি অযোগ্য, মেরুদণ্ডহীন, বিতর্কিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,। আগের অনুসন্ধান কমিটির (সার্চ কমিটি) প্রধানকে নতুন কমিটির প্রধান করার অর্থ সরকার আরেকটি অনুগত ও অযোগ্য ইসি করতে চায়।’
শুক্রবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নবগঠিত সার্চ কমিটি নিয়ে আনুষ্ঠানিক এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
দলীয় বিবেচনায় সদস্য নিয়োগের অভিযোগ তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, সার্চ কমিটি গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির কোনো প্রতিফলন নেই। যাদের দিয়ে সার্চ কমিটি গঠন হয়েছে, তাদের মাধ্যমে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, সৎ ও সাহসী ব্যক্তিরা আগামী প্রধান নির্বাচন কমিশনার কিংবা সদস্য হবেন এমনটা আশা করা বাতুলতা।
তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতিকে প্রধান করে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগের বার গঠিত অনুসন্ধান কমিটিরও প্রধান ছিলেন তিনি। সেই কমিটির প্রস্তাবের ভিত্তিতে কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বাধীন বর্তমান গঠিত ইসি অযোগ্য, মেরুদণ্ডহীন, বিতর্কিত।
অনুসন্ধান কমিটির সদস্যদের সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিবের অভিযোগ, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ-সমর্থিত আইনজীবী হিসেবে বহুল পরিচিত ছিলেন। সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান (পিএসসি) মোহাম্মদ সাদিক বিতর্কিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিয়মসিদ্ধ করার পুরস্কার হিসেবে অবসরের পর তাকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে।
‘অনুসন্ধান কমিটির আরেক সদস্য মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মাসুদ আহমেদ রাজনৈতিক সরকারে অধীনস্ত একজন সরকারি কর্মকর্তা যিনি সরকারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করার ক্ষমতা রাখেন না। কমিটির একমাত্র নারী সদস্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শিরীণ আখতার বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষক নেতা হিসেবে পরিচিত।’
আগামী নির্বাচনে জয় নিশ্চিতে ক্ষমতাসীন দল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, দেশবাসীকে ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াবার আহ্বান জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ কেন্দ্রীয় নেতা এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী প্রমুখ।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্যে ছয় সদস্যেরআপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সার্চ কমিটি অন্য সদস্যরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মাসুদ আহমেদ, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান (পিএসসি) মোহাম্মদ সাদিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শিরীণ আখতার।