আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাঙ্গনে অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখতে এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সচেতন থাকতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। গণভবনের সবুজ চত্বরে অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন বক্তৃতা করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মঞ্চে ছিলেন। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম এবং দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ।
’৯৬ সালে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণের পর সেশন জট কমাতে তৎকালীন সরকারের উদ্যোগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিয়মিত পরীক্ষা গ্রহণ, সেমিস্টার পদ্ধতির প্রচলন এবং জিপিএ সিস্টেম চালু করার ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করার জন্য ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, শুধু লেখাপড়া করলেই চলবে না জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং মাদকের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হতে হবে এবং এসবের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমি চাই তোমরা নিজ নিজ এলাকায় যাও বা যেখানেই যাও সেখানে স্থানীয় জনণের মধ্যে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকাসক্তি নিয়ে জনমত সৃষ্টির জন্য কাজ করবে।’ দেশে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় থাকলেই কেবল কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের নিজেদের সৎ ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমি চাই তোমরা মনোযোগের সঙ্গে লেখাপড়া করে যথাসময়ে পরীক্ষায় পাস করবে। তোমরা সৎ পথে থেকে জনগণের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করবে।’ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের শিক্ষার পাশাপাশি নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জনের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তোমাদের মধ্য থেকেই আগামীর নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবে।’
প্রধানমন্ত্রী এসময় দেশে ২০১৩, ১৪, ১৫-এই তিন বছর ভয়াবহ সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য বিএনপি-জামায়াত জোটকে অভিযুক্ত করে বলেন, ‘সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়ে তারা অনেক নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে। শত শত নারী, শিশু, এমনকি স্কুলের ছাত্ররা পর্যন্ত তাদের আগুন সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে, তাদের পুড়িয়ে হত্যা করেছে।’
জঙ্গিবাদকে একটি বৈশ্বিক সমস্যা আখায়িত করে প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস দমন ও জঙ্গি উচ্ছেদে তার সরকারের পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরে বলেন, ‘তার সরকার এই সামাজিক ব্যাধি দূর করতে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে।’ ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর হস্তে এগুলো দমনের উদ্যোগ নিয়েছে। সেই সঙ্গে আমরা দেশবাসী-মসজিদের ইমাম, শিক্ষক, অভিভাবক, ছাত্রসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলছি।’
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 | 31 |