বিএনপি নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে গঠিত ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি নিয়ে ক্ষুব্ধ। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, নিরপেক্ষতার চরম যে নির্দশন, প্রেসিডেন্ট আমাদেরকে সেটা দিয়েছেন। আমরা শুধু হতাশ হইনি, আমরা ক্ষুব্ধ হয়েছি। এই সার্চ কমিটি কী ধরনের নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন, তা এখনই বুঝতে পারছি। এ সার্চ কমিটিকে আওয়ামী লীগ সরকারের পছন্দের কমিটি এবং এ কমিটির মাধ্যমে তারা আবারও ৫ই জানুয়ারির মতো নির্বাচন করতে চায়। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে গতকাল লেবার পার্টি আয়োজিত ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র-শহীদ জিয়া: আজকের প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। মির্জা আলমগীর বলেন, প্রেসিডেন্ট আলোচনা শুরুর পরে একটি আশার আলো দেখা দিয়েছিল। কিন্তু সেই আশা হতাশায় পরিণত হয়েছে, চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। যে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে, তা আওয়ামী লীগ সরকারের পছন্দের কমিটি। কারণ, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি এগুলো সরকারের নিয়োগ। এতে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসির বেসরকারি টেলিভিশনের দেয়া প্রতিক্রিয়ার কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কী নিরপেক্ষ সার্চ কমিটি হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে। আমরা শুধু হতাশই হইনি, ক্ষুব্ধও হয়েছি। মির্জা আলমগীর বলেন, প্রেসিডেন্টের কাছে রাজনৈতিক দলগুলোর অনেক আশা ছিল। রাজনৈতিক দলগুলো আশা করেছিল, প্রেসিডেন্ট ভালো ও নিরপেক্ষ সার্চ কমিটি দেবেন। বিএনপিও সেটাই আশা করেছিল। বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রেসিডেন্ট একটি প্রতিষ্ঠান। বিএনপি আশা করেছিল, তাঁর কাছে নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত পাবে। সংকট নিরসনে একটি সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি। এখনই বোঝা যাচ্ছে, বাছাই কমিটি কী ধরনের ইসি গঠন করবে। এই কমিটির মাধ্যমে আবারও অন্ধকার গহ্বরের দিকে দেশকে ঠেলে দেয়া হলো।
দলীয় মনোভাবাপন্ন সার্চ কমিটি মানবে না বিএনপি: রিজভী
নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে গঠিত সার্চ কমিটি দলীয় মনোভাবাপন্ন হলে বিএনপি মানবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ। গতকাল দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয় নাগরিক সংসদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান। সংগঠনের সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির সহ শিক্ষা সম্পাদক ফরিদা মনি শহীদুল্লাহ, সহ প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু বক্তব্য দেন।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |