আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম গণহত্যার খলনায়কদের বিচারিক প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হবেই। এই গণহত্যার নির্দেশদাতারা গণদুশমন। সমাজে তাদের অবাধ বিচরণ আমরা সহ্য করব না।২৯ বছর আগে চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে আওয়ামী লীগের সমাবেশের আগে গুলি চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যার ‘খলনায়কদের’ সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে আশা করে ।
মঙ্গলবার দুপুরে আদালত ভবন এলাকায় পুরাতন বাংলাদেশ ব্যাংক চত্বরে ‘চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আমাদের রক্ত বৃথা যায়নি। দেশে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। জয় বাংলা ও আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে যারা সমাজকে কলুষিত করছে তারা ঘরের শত্রু বিভীষণ। তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারের শেষ দিকে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা নগরীর লালদীঘি ময়দানে এক জনসভায় যাওয়ার পথে তার গাড়িবহরে নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। এতে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হন।
ওই হত্যাকাণ্ড স্মরণে নির্মিত স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় নগর আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ ও কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন।