প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণমিছিলের কারণে ব্যাপক গণভোগান্তির কারণে ছাত্রলীগের সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সেদিন ছাত্রলীগ নেতাদের যানজটের ভোগান্তির কথা মাথায় রাখা উচিত ছিল। তারা সতর্ক থাকলে যানজটের যন্ত্রণা কত হতো। এই অভিজ্ঞতা থেকে ১০ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশকে ঘিরে জনভোগান্তি নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এত মতবিনিময়ে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের শোভাযাত্রার কারণে মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছিল। কিন্তু তা ম্যানেজ করা যেত।’
গত বুধবার ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা থেকে শাহবাগ হয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পর্যন্ত শোভাযাত্রা করে ছাত্রলীগ। এই কর্মসূচির কারণে ঘণ্টা দেড়েক শাহবাগ থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আর তাদের এই কর্মসূচির কারণে দিনভর তীব্র যানজটের ভোগান্তিতে পড়ে রাজধানীবাসী। শহরের অন্যতম প্রধান সড়ক বন্ধ থাকার প্রভাব পড়ে নগরীর কেন্দ্রেস্থলে।
সেদিন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ওবায়দুল কাদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরর সমাবেশে তার বক্তব্য শেষেই বের হয় এই শোভাযাত্রা। এই বিষয়টির উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দায়-দায়িত্ব আমরা এড়াতে পারবো না। এর জন্য যারা দূর্ভোগে পড়েছিলেন তাদের কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’
১০ জানুয়ারি জনদুর্ভোগ নিয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে প্রতি বছরের মতো এবারও নানা কর্মসূচি থাকছে আওয়ামী লীগের। এর অংশ হিসেবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সেদিন সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বড় কোনো সমাবেশ থাকলে বরাবর যানজটের ভোগান্তিতে পরে রাজধানীবাসী। ১০ জানুয়ারি এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘১০ জানুয়ারি ঢাকার সকল এলাকা থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মিছিল আসবে। সেদিন রাস্তায় জনদূর্ভোগ সহনীয় রাখার চেষ্টা আমাদের করতে হবে।’
কীভাবে সতর্ক থাকবে হবে-সেই পথও বাতলে দেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘সম্পূর্ণ রাস্তায় মিছিল না করে রাস্তার একপাশে মিছিল করলে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। এতে মানুষের ভোগান্তি কম হবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি জনগণের জন্য। জনসভাটিও করছি জনগণের স্বার্থে। তাই এর কারণে যদি জনগণ দূর্ভোগের শিকার হয় তাহলে দলের জন্য ইতিবাচক হবে না।’
সমাবেশ চলাকালেও যেন জনগণের চলার পথে যেন কোনো প্রকার বিঘ্ন না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘ আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি। সুতরাং জনগণের কষ্ট হয় এমন কিছু করা যাবে না।’