পটিয়ায় গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয় সরকারের ৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে। পটিয়া উপজেলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে পৌরসভা কমপ্লেক্সে গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশ শেষে কক্সবাজারগামী একটি বাসের হেলপারের সাথে লেগে এক যুবকের মোবাইল ফোন রাস্তায় পড়ে ফেটে যায়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জনতা, বাস শ্রমিক ও পুলিশের সাথে ত্রি–মুখী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে একটি বাসের গ্লাস ভাঙচুর ও উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হয়। এ সময় বাস শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করলে প্রায় আধ ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে। পরে পটিয়া থানার ওসি, ট্রাফিক সার্জেন্ট ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। জানা গেছে, ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র রক্ষা দিবসে পটিয়া উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের আয়োজনে গতকাল এক সমাবেশ ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। গণমিছিলে নেতৃত্ব দেন সাংসদ সামশুল হক চৌধুরী। ব্যানার, ফেস্টুন, প্লেকার্ড নিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী গণমিছিলে অংশ নেন। বাস শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ ইয়াছিন জানান, বাস শ্রমিক ও যুবকদের সাথে মোবাইল ফোন পড়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ঘটনায় পুলিশ শ্রমিকদের উপর হামলা চালালে ত্রি–মুখী সংঘর্ষে রুপ নেয়। এ ঘটনায় ৫ বাস শ্রমিক আহত হয়।
পটিয়ার ট্রাফিক সার্জেন্ট মোহাম্মদ বশির জানান, মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে ঘটনার শুরুতে আমি সেখানে যাই। কিন্তু বাসের হেলপারকে আটক করে রাখায় শ্রমিকরা মিছিল ফেরত যুবকদের উপর হামলা চালায়। এতেই ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে বাস শ্রমিকরা রাস্তায় বাস এলোপাথারি করে রাস্তা ব্লক করে দেয়। পুলিশ বাস সরাতে গেলে তাদের সাথে বাস শ্রমিকদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পটিয়া থানার ওসি শেখ নেয়ামত উল্লাহ জানান, মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে সামান্য ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়।
এদিকে গণতন্ত্র রক্ষায় পটিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় গণমিছিল পূর্ব সমাবেশ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পটিয়ার মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাংসদ সামশুল হক চৌধুরী। প্রধান অতিথি বলেন– প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। কোন অপশক্তি দেশে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা রুখতে পারবে না। প্রধান বক্তা ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সহ–সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আকম শামসুজ্জামান চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য দেবব্রত দাশ, সাবেক চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা সামশুদ্দিন আহমদ, জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি নুরুল হাকিম, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর আলম, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি বেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এম এ রহিম, পৌর যুবলীগ সভাপতি নুর আলম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কোরবান আলী, সেক্রেটারী মো: সোহেল প্রমুখ।