নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের তিন বিভাগেই ব্যর্থ। ব্যাটিংয়ে তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস ছাড়া সিনিয়র খেলোয়াড়দের কেউ নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ইনজুরি আক্রান্ত মুশফিকের পরিবর্তে শেষ দুই ওয়ানডে খেলা নুরুল হাসান সোহান ব্যাট হাতে মোটামুটি ভাল করেছেন। আর বল হাতে সাকিব আল হাসান মোটামুটি ভাল করেছেন। তবে দুই ম্যাচে মোস্তাফিজ ছিলেন নিজের মতোই। প্রথম ম্যাচে সাকিব আল হাসান তিন উইকেট নেয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে নেন ২ উইকেট। কিন্তু শেষ ম্যাচে উইকেটের দেখা পাননি। একইভাবে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা প্রথম ম্যাচে উইকটেশূন্য থাকার পর দ্বিতীয় ম্যাচে নেন তিন উইকেট। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে এসে ফের উইকেটশূন্য। আর স্পেশালিস্ট লেগ স্পিনার হিসেবে দুই ম্যাচে একাদশে জায়গা পাওয়া তানভীর হায়দার হতাশ করেছেন দর্শকদের। দ্বিতীয় ম্যাচে ৮ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। আর শেষ ম্যাচে তো তাকে গলির বোলার বানিয়ে ফেলেন কিউই ব্যাটসম্যানরা। ব্যক্তিগত দুই ওভারে দিয়ে ফেলেন ২০ রান। এরপর আর তাকে বল দেননি অধিনায়ক মাশরাফি। তাসকিন আহমেদ ৩ ম্যাচে নিয়েছেন মাত্র ৪ উইকেট। বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন ব্যতিক্রম। প্রথম ম্যাচে ৬২ রানে নেন ২ উইকেট। পরের ম্যাচে বিশ্রাম দেয়া হয় তাকে। শেষ ম্যাচে দলে ফেরেন তিনি। এই ম্যাচে মাত্র ২ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। এই দু’টি উইকেটই নেন মোস্তাফিজ। ৯.২ ওভারে দেন ৩২ রান। ওভারপ্রতি খরচ করেন ৩.৪২ রান। আর তিন ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের ফিল্ডিং ছিল হতাশাকর। এ বিষয়ে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা নিজেই হতাশার কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে ব্যাট হাতে শুধু তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস যা একটু খেলেন। তিন ম্যাচে ৩৯.৬৬ গড়ে সর্বোচ্চ ১১৯ রান করেন ইমরুল। আর ৩৭.৬৬ গড়ে তামিম করেন ১১৩ রান। দুইজনেরই সেরা ইনিংস ৫৯ রানের। মুশফিকের বদলে খেলা তরুণ নুরুল হাসান বেশ ভালই করেছেন। দ্বিতীয় ম্যাচে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার মধ্যে দাঁড়িয়ে আট নম্বরে নেমে তিনি করেন গুরুত্বপূর্ণ ২৪ রান। আর শেষ ম্যাচেও অন্য ব্যাটসম্যানদের যাওয়া-আসার মধ্যে তিনি বুক চিতিয়ে লড়াই করে যোগ করেন ৪৪ রান। বাংলাদেশ দলে সবচেয়ে হতাশাকর নৈপুণ্য দেখিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মিডলঅর্ডারে নির্ভরযোগ্য এ ব্যাটসম্যান এ সিরিজেনিজের নামরে প্রতি মোটেও সুবিচার করতে পারেননি। তিন ম্যাচে তিনি করেছেন মাত্র ৪ রান। প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে ফেরার পর দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ১ রান। আর শেষ ম্যাচে তারচেয়ে একটু বেড়ে করেন ৩ রান। তিন তিন ম্যাচে বল করেছেন মাত্র এক ওভার। ৬ রান দিয়ে সাফল্যের খাতা শূন্য।
সিরিজে বাংলাদেশের শীর্ষ ৬ ব্যাটসম্যান
খেলোয়াড় ম্যাচ রান গড় সর্বোচ্চ
ইমরুল কায়েস ৩ ১১৯ ৩৯.৬৬ ৫৯
তামিম ইকবাল ৩ ১১৩ ৩৭.৬৬ ৫৯
নুরুল হাসান ২ ৬৮ ৩৪.০০ ৪৪
মোসাদ্দেক হোসেন ৩ ৬৪ ৩২.০০ ৫০*
সাকিব আল হাসান ৩ ৮৪ ২৮.০০ ৫৯
সাব্বির রহমান ৩ ৭৩ ২৪.৩৩ ৩৮
সিরিজে বাংলাদেশের শীর্ষ ৫ বোলার
খেলোয়াড় ম্যাচ উই সেরা গড়
সাকিব আল হাসান ৩ ৫ ৩/৬৯ ৩৩.৮০
মোস্তাফিজুর রহমান ২ ৪ ২/৩২ ২৩.৫০
তাসকিন আহমেদ ৩ ৪ ২/৪৫ ৩৯.০০
মাশরাফি বিন মুর্তজা ৩ ৩ ৩/৪৯ ৪৮.৬৬
শুভাশিষ রয় ১ ১ ১/৪৫ ৪০.০০