জেলা পরিষদের ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একদিন বাদেই আগামী বুধবার । আজ (সোমবার) মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা।রবিবার মধ্যরাত থেকে ভোট কেন্দ্রের আশপাশের এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে নিষিদ্ধ হচ্ছে আরও সাত ধরনের যান চলাচল।
অন্যান্য সকল নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ৮ঘণ্টা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় থাকছে ৫ ঘণ্টা। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতির এই নির্বাচনে ভোটার কম হওয়ার কারণেই ভোটগ্রহণের সময় কমানো হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে। জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্র তথা ওয়ার্ডে গড়ে ভোটার সংখ্যা ৬৯টি।
পার্বত্য জেলা বাদে দেশের ৬১টি জেলা পরিষদে আগামী ২৮ ডিসেম্বর (বুধবার) নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এসব জেলার মধ্যে ২২টিতে চেয়ারম্যান পদে ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের সকলেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী। ফলে ৩৯টি জেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে। এসব জেলায় ১২৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সাধারণ সদস্য পদে ২ হাজার ৯৮৫ জন ও সংরক্ষিত (নারী) সদস্য পদে ৮০৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। সাধারণ সদস্য পদে ১৩৯ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
চেয়ারম্যান ছাড়াও প্রতিটি জেলায় ১৫ জন সাধারণ সদস্য ও পাঁচজন নারী সদস্য নির্বাচিত হবেন। জেলা পরিষদ নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রতিটি জেলাকে ১৫টি সাধারণ ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। ৬১ জেলায় ৯১৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ৩০৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে ভোট কেন্দ্র থাকবে। সেই হিসাবে ভোটকেন্দ্র থাকছে ৯১৫টি ও ভোটকক্ষ থাকছে এক হাজার ৮৩০টি।
বাংলাদেশে এই প্রথম জেলা পরিষদ নির্বাচনে সরাসরি ভোট গ্রহণ হবে না। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই শুধু ভোট দেবেন। প্রত্যেক জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্যরা ভোট দেবেন।
জেলা পরিষদে মোট ভোটার রয়েছেন ৬৩ হাজার ১৪৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৮ হাজার ৩৪৩ জন ও নারী ১৪ হাজার ৮০০ জন।
জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও সংসদের বাইরে থাকা দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এ নির্বাচন বর্জন করেছে। ফলে অনেকটাই একতরফা হচ্ছে এ নির্বাচন। এতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও দলটির বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে।