বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল ভারতে যাচ্ছেন মাদক চোরাচালান রোধে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য । সংস্থাটির মহাপরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমানের নেতৃত্বে আজ মঙ্গলবার ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। সেখানে ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আন্তঃদেশীয় মাদক চোরাচালান রোধে দুই দেশ একসঙ্গে কিভাবে কাজ করতে পারে ওই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। গতকাল সকালে রাজধানীর শিল্পাঞ্চলে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সংস্থাটির মাদকদ্রব্য উদ্ধার সংক্রান্ত বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে মাদকের তথ্য তুলে ধরে বলা হয় সাম্প্রতিক সময়ে ইয়াবা সেবন ও পাচারের হার বাড়ছে। শিক্ষার্থীরাই ইয়াবা বেশি সেবন করে। সংবাদ সম্মেলনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও গোয়েন্দা) সৈয়দ তৌফিক উদ্দিন আহমেদ জানান, বাংলাদেশের প্রতিবেশী বড় রাষ্ট্র হচ্ছে ভারত। সর্বনাশা নেশা মাদকের বিরুদ্ধে দুই দেশ যৌথভাবে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। দুই দেশ মাদকদ্রব্য দমনে একে অপরকে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে থাকে।
তিনি আরো জানান, প্রত্যেক বছর দুই দেশের কর্মকর্তারা মাদকদ্রব্য চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পারস্পরিকভাবে যৌথ সফর করে থাকেন। এবারও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের দল মঙ্গলবার বিকালে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। ওই সফরে মাদক চোরাচালান রোধের জন্য সংশ্লিষ্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পরে দুই দেশ মাদকের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যমকে জানানো হবে। সৈয়দ তৌফিক উদ্দিন আহমেদ জানান, ওই আলোচনায় প্রাধান্য পাবে দেশের সীমান্ত এলাকা দিয়ে কিভাবে মাদক চোরাচালান রোধ করা যায়। মাদক চোরাচালানকারীরা সীমান্ত এলাকা দিয়ে বেশিরভাগ মাদক দেশে নিয়ে আসছে। ওই চোরাচালান দমনে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জনবলের ঘাটতি রয়েছে। ওই ঘাটটি থাকা সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাদক দমনে নিরন্তরভাবে কাজ করে যাচ্ছে সংস্থাটি। আগামী ২৫শে ডিসেম্বর বড়দিন এবং ৩১শে ডিসেম্বর থার্টিফার্স্ট নাইটে উদযাপনে যেন মাদক পাচার এবং ব্যবহার রোধ করা যায় তা নিয়ে আগাম সতর্ক রয়েছে।
তিনি আরো জানান, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ৮২৮টি মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে ৯০৭ জনকে। উদ্ধার হওয়া আলামতগুলো হলো হেরোইন ০.০৬৬৭ কেজি, গাঁজা ১৮৫.৫০৯ কেজি, বিদেশি মদ ৩৭৯ বোতল, বিয়ার ৯৬ বোতল, ইয়াবা ৪৭৬২৩ পিস ও ফেনসিডিল ১৫৬৯ বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য সংস্থার অভিযানে সারা দেশে মাদকের মামলা হয়েছে ৬৪০৯টি। ওই মামলায় ৮১৯৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ওই অভিযানে উদ্ধারকৃত আলামতগুলো হলো: হেরোইন ২০.৭৬১ কেজি, গাঁজা ৩,১৪২ কেজি, বিদেশি মদ ১৮৪২৫ বোতল, ইয়াবা ৩০,২২,৯৮৭ পিস ও ফেনসিডিল ৫০,৫৬৪টি বোতল উদ্ধার করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং দেশের অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে মাদকের ব্যবহার রোধ এবং দমনে সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে তিনি জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মো. মেহেদী হাসান, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) বজলুর রহমান ও ঢাকা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) খুরশীদ আলম প্রমুখ।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |