চালসহ দেশে ২০ লাখ টনের বেশি বাড়তি খাদ্য শস্য রপ্তানির জন্য সরকার বিদেশে বাজার খুঁজছে বলে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, “২০০৯ সালে সরকার গঠন করার সময় ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। ২০১১-১২ অর্থবছরে আমাদের বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হয়েছিল। এ ঘাটতি মিটিয়ে এখন আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ‘অভ্যন্তরীণ চাল সংগ্রহ ও খাদ্যবান্ধব কর্মসুচি’ নিয়ে বিভাগীয় খাদ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা জানান মন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে দেশে ২০ থেকে ২২ লাখ টন খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকে। আমরা খাদ্য রপ্তানিতে যোগ্যতা অর্জন করেছি। এ মুহূর্তে আমরা মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকান কান্ট্রিগুলোতে চালের বাজার খোঁজ করছি।”
বাংলাদেশ চাল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী শ্রীলঙ্কা ও নেপালে চাল রপ্তানির বিষয়টিও তুলে ধরেন।
দেশে খাদ্য সংকট রয়েছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের সমালোচনা করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “এগুলো আমাদের খুব আহত করে। দেশে কোনো খাদ্য সংকট নেই। ২০১৬ সালে ২০ থেকে ২২ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য সারপ্লাস।”
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুল কাদেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বদরুল হাছান, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক শামসুল আরেফীন বক্তব্য রাখেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা নিজ নিজ জেলার কর্মসূচি ও ধান সংগ্রহের বিষয় তুলে ধরেন।