রাজাকার কমান্ডার গাজী আব্দুল মান্নান (৮০) পলাতক অবস্থায় মারা গেছেন একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দ-প্রাপ্ত করিমগঞ্জের। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর ব্রিজ এলাকার ভাড়া বাসায় তার মৃত্যু হয়। ২০১৫ সালের এপ্রিলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ২০ মাসেরও বেশি সময় ধরে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। বার্ধক্যজনিত কারণে গাজী আব্দুল মান্নানের মৃত্যুর পর দুপুর ১টার দিকে তার লাশ করিমগঞ্জের চরপাড়া গ্রামে নিয়ে আসা হয়। বাদ আছর করিমগঞ্জ কলেজ মাঠে জানাজা অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়ে এলাকায় মাইকিং করানোর পর এ নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। পরে তড়িঘড়ি করে বেলা আড়াইটার দিকে নিজ বাড়ির আঙিনায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় তার পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়রা অংশ নেন। পরে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয়।
২০১৫ সালের ১৫ই এপ্রিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গাজী আব্দুল মান্নানসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে করা মামলায় তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন। এই মামলার পাঁচ আসামি হচ্ছেন, করিমগঞ্জের দুই সহোদর সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মো. নাসিরউদ্দিন আহমেদ ও কিশোরগঞ্জ জেলা বারের আইনজীবী মো. শামসুদ্দিন আহমেদ এবং করিমগঞ্জের রাজাকার কমান্ডার গাজী আব্দুল মান্নান, হাফিজ উদ্দিন ও আজহারুল ইসলাম। পাঁচজনের বিরুদ্ধেই ট্রাইব্যুনাল-১ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও কেবল মো. শামসুদ্দিন আহমেদ গ্রেপ্তার হন এবং বাকি চার আসামি পলাতক থাকেন। পরে ২০১৬ সালের ৩রা মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চার রাজাকার সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, তার সহোদর অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন আহমেদ, রাজাকার কমান্ডার গাজী আবদুল মান্নান ও সহযোগী হাফিজ উদ্দিনকে মৃত্যুদ- এবং আজহারুল ইসলামকে আমৃত্যু কারাদ- প্রদান করেন। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর ব্রীজ এলাকার ভাড়া বাসায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থাতেই গাজী আব্দুল মান্নানের মৃত্যু হয়।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 | 31 |