ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিজয় দিবসের খাবার নিয়ে । এসময় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমার গ্রুপের কর্মীদের হমালায় সভাপতি সাইফুল ইসলাম গ্রুপের ৮ কর্মী আহত হয়। এদের মধ্যে জসিম নামের এক কর্মীকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ কর্মীদের কাছে লঞ্ছিত হয়েছেন প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান। শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে ইবির সাদ্দাম হোসেন হলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, বিজয় দিবস উপলক্ষে ইবির আবাসিক হলে বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়। জুমার নামাজের পর সাদ্দাম হোসেন হলে শিক্ষার্থীরা লাইন ধরে খাবার নিচ্ছিল। এসময় অমিত কুমার গ্রুপের কর্মীরা ও সাদ্দাম হলের সহ-সভাপতি নওশাদ কবির টোকন ছাড়া খাবার নিতে থাকে। এতে সভাপতি গ্রুপের কর্মী ও হল শাখার সধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সাগরের কর্মীরা নওশাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে হল প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আশরাফুল আলমকে খাবার দেয়া বন্ধ করতে বলে। তারা প্রভোস্টকে আগে তাদেরকে খাবার দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও অন্যদের খাবার দিতে বলে। এসময় নওশাদ সভাপতি গ্রুপের সাগরের কর্মীদের পাল্টা হুমকি দেয়। পরে নওশাদ হলের বাইরে গিয়ে অমিত কুমারের নেতা-কর্মীসহ বহিরাগত ২০/২৫ জন মিলে ডাইনিংয়ের সামনে সভাপতি গ্রুপের কর্মীদের ওপর হামালা চালায়। তারা এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, লাঠিসোটা, রড নিয়ে সভাপতির কর্মীদের মারতে থাকে। এসময় আতঙ্কে সাধারণ শিক্ষার্থীরা দিগি¦দিক ছুটোছুটি করতে থাকে। হামলায় ছাত্রলীগের ৬ কর্মী, ৪ জন সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হন। ঘটনাস্থলে প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান আসলে সাগরের কর্মীরা পেছন থেকে তাকে কিল ঘুষি মারতে থাকে। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্র উপদেষ্টার হস্থক্ষেপে পরিবেশ শান্ত হয়।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমার বলেন, আমার কর্মীরা খাবার নিতে গেলে সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা বাধা দেয়। এতে আমার কর্মীরা ক্ষিপ্ত হলে একটু হতাহাতি হয়। আমি ঘটনার পর আমার কর্মীদের সরিয়ে দিয়েছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমারা কেন্দ্রিয় কমিটিকে ঘটনা জানাবো। দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বহিরাগত কর্মীদের নিয়ে কেউ যদি এর সাথে জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।