বাংলাদেশ-ভারতের দুইটি সার্ভে দল খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর উপর বাংলাদেশের রামগড় ও ভারতের সাব্রুম স্থলবন্দর কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষে মৈত্রী সেতু ১ এর নির্মাণ বিষয়ে ১৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বাংলাদেশ অংশে সীমানা নির্ধারনের মাধ্যমে প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে।
জানা গেছে, আগামী ২০১৯ সালের মধ্যে নির্মান কাজ শেষ করার লক্ষমাত্রা নিয়ে আগামী জানুয়ারী ২০১৭ সাল থেকে ভারতীয় অর্থায়নে ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৪.৮ মিটার প্রস্তের সংযোগ সড়কসহ সেতু নির্মানের জন্য ১৬ একর জমি অধিগ্রহন করা হবে। এরমধ্যে মূল সেতুটি হবে ১৫০ মিটার।
খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহ্ উদ্দিন এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দলের ৫ সদস্য ও ভারতের পক্ষে ৭ সদস্য বিশিষ্ট সার্ভে দলের নেতৃত্ব দেন ভারতের এনএইচআইডিসিএল প্রকল্পের ডিজিএম পিকে বুনিয়া।
পিকে বুনিয়া জানান, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ এর নির্মাণ সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আজকে মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরুর মধ্যে দিয়ে আমরা দ’দেশের সার্ভে দল অগ্রসর হচ্ছি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাস থেকে সেতুর কাজ শুরু করা যাবে।
এসময় রামগড়ের উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল-মামুন মিয়া, সহকারী কমিশনার ভূমি তামান্না নাসরিন উর্মী, এএসপি সার্কেল হুমায়ুন কবীর, পৌর মেয়র মোহাম্মদ শাহজাহান, রামগড় থানা অফিসার ইনচার্জ মাইন উদ্দিনসহ ভূমি ও সড়ক বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকার্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরে ভারত-বাংলাদেশের দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী রামগড় স্থলবন্দর চালুর লক্ষ্যে ফেনী নদীর উপর রামগড়-সাবরুম মৈত্রী সেতু-১ এর ভিত্তি প্রস্তর আনুষ্ঠানিক ভাবে শুভ উদ্ভোধন করেন। সর্বশেষ গত ৭ ডিসেম্বর ভারত-বাংলাদেশের দুইটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল স্থলবন্দর সেতু অংশ পরিদর্শন শেষে রামগড় পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা বৈঠকে সেতুটি নির্মানের আনুষ্ঠানিকতার কথা জানান।